‘সমাজ ভিত্তিক বীজ ভান্ডার গড়ে তুলি, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সোমবার (১৯ নভেম্বর) দিনব্যাপি কৃষিমেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিলুপ্তপ্রায় দেশী জাতের ধান সংরক্ষণ, উৎপাদন ও বিতরনের লক্ষে উপজেলার চাটকিয়া গ্রামের সেন্টু চন্দ্র হাজং এর বাড়ীতে কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের এলআরডি প্রকল্পের সহায়তায় এ মেলার আয়োজন করা হয়। এদিন ময়মনসিংহ বিভাগের নালিতাবাড়ী, হালুয়াঘাট ও পুর্বধলা উপজেলার প্রশিণপ্রাপ্ত শতাধিক কৃষক-কৃষাণী অংশ গ্রহন করেন। এ সময় কৃষক-কৃষাণীরা সেন্টু চন্দ্র হাজং এর বৃডিং (শংকরায়ন) পদ্ধতিতে ট্রায়াল করা ৫শ প্লট ও তার আবিষ্কার করা দেশী জাতের ধানের ক্ষেত ঘুরে দেখে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করার জন্য আলোচনা সভায় মিলিত হন। এতে কৃষক রত্নেশ্বর চন্দ্র বর্মণের সভাতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, নালিতাবাড়ী কারিতাসের সুপারভাইজার মি. সনত দ্রং। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, কৃষক মার্চেন চিসিম, এবারসন চিরান, লাল মিয়া, আব্দুল হাকিম, সন্তোষ কুমার হাজং, রথিন্দ্রনাথ চন্দ্র বর্মণ কৃষাণী রেনিকা চিরান প্রমুখ। এসময় কারিতাসের শ্যামল নকরেক, হিরেন মাংসাং, মনোজ দ্রং, শান্তি লতা রাকসাম ও কামিলুঘ নকরেক উপস্থিত ছিলেন।
দেশীজাতের ধান আবিষ্কারক স্বল্প শিতি কৃষক সেন্টু চন্দ্র হাজং বলেন, তিনি ২০০৬ সাল থেকে কারিতাস এলারডি’র সহায়তায় এ পর্যন্ত ১৯টি নতুন দেশী জাতের ধান আবিষ্কার করেছেন। এগুলোর নামও রেখেছেন সেন্টু-১, সেন্টু-২, সেন্টু শাইল, মেরীগোল্ড, সেন্টুৃগোল্ড, রাণী শাইল ইত্যাদি। এছাড়াও নতুন জাত উদ্ভাবনের জন্য এ বছর ৫শটি ধানের জাতের ছোট ছোট প্লট ট্রায়াল করে করেছেন। তিনি আরো বলেন, দেশী জাতের ধান সংরক্ষেণ ও উদ্ভাবনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৬ সালের ৬ মে ইস্টল্যান্ড ইন্সুরেন্স কোম্পানী তাকে ক্রেষ্ট ও ১ লাখ টাকা পুরুষ্কার দিয়েছেন। দেশী জাতের ধান সংরক্ষণে আজীবন কাজ করে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পরে মনোজ্ঞ সাংস্ককৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।