শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মাসিক মিটিংয়ে সমন্বয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে তার উল্টো অভিযোগ এনে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা বর্জন করেছেন উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা এগারোটায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষ ‘মেঘমালা’ এ সভা হওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যানরা এতে অনুপস্থিত ছিলেন।
নালিতাবাড়ী উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন সূত্র জানায়, প্রতিমাসে সমন্বয় সভা করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সমন্বয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে এর কোন বাস্তবায়ন নেই। সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দফতর নিজেদের মতো করে উপজেলায় বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে থাকে। কৃষি প্রণোদনা বিতরণ ও বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছুতেই জনপ্রতিনিধিদের সাথে উপজেলা পরিষদের সমন্বয়হীনতা চলছে। গত মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভাতেও এসব কারণে চেয়ারম্যানদের উপস্থিতি ছিল এক চতুর্তাংশ। এমতাবস্থায় ইউপি চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত মতে বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মাসিক সমন্বয় সভা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৫ নং রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতি সমন্বয়হীনতার অভিযোগ করে বলেন, আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান এর সভাপতিত্বে কোন সভায় উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
৭নং নালিতাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান জানান, কৃষি অফিস, ইঞ্জিনিয়ার অফিস, পিআইও অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সকল দফতর তাদের মতো করে কাজ করেন। আমাদের সাথে কোন সমন্বয় করেন না। মাসিক সভায় সমন্বয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে কোন সমন্বয়ই হয় না।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসসহ সকল দিবস উদযাপন এমনকি জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানেও আমাদের কাছ থেকে সবসময় চাঁদা আদায় করা হয়। অথচ সুবিধার বেলায় আমাদের সাথে সমন্বয়হীনতা চলে। তাই আমরা মাসিক সভা বর্জন করেছি।
তবে চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও বাঘবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর নিজেকে অসুস্থ দাবী করে অনুপস্থিত থাকার কথা পাশ কেটে যান।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব খ্রীষ্টফার হিমেল রিছিল জানান, সোমবার বেলা এগারোটায় মাসিক সমন্বয় সভা হওয়ার কথা ছিল। কোন ইউপি
চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন না। তাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তারা বলেছিলেন উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু কেন উপস্থিত ছিলেন না এ বিষয়ে তারা আমাকে কোনকিছু অবহিত করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু সাংবাদিকদের জানান, মাসিক সমন্বয় সভার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় না থাকায় দ্রুত সভার কাজ শেষ করা হয়েছে। এসময় তিনি ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতির কথা স্বীকার করেন।