জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের এসএইচএস উচ্চ বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত। বিদ্যালয় গৃহের, বেড়া, চালা, আসবাবপত্র, পানি ও চারদিকের সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এ যেন দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে ১.৪২ শতাংশ জমির উপর মরহুম আক্কাস আলী এসএইচএস উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
বিদ্যালয়ের মোট লোকবল ১৫ জন। তন্মধ্যে একজন প্রধান শিক্ষক ,একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক ,১০ জন সহকারী শিক্ষক এবং ৩য় শ্রেণীর ৩জনের মধ্যে একজন অফিস সহকারী, দুইজন অফিস সহায়ক। বিদ্যালয়ের মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-৪২১ জন। বিদ্যালয়ের বিগত বৎসরের পাশের হার জেএসসি ও এসএসসিতে ৯৭%। লেখাপড়ার মান ভাল থাকলেও ভাল নেই শিক্ষার পরিবেশ।
বিদ্যালয়টির চৌচালা বিশিষ্ট ৩০ হাত করে টিনের দুটি ঘর বিগত এক বৎসর পূর্বে ঝড়ে পড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।তখন থেকে ঘরের বেড়া ,জানালা ,দরজা না থাকায় পাঠ দানের সময় চারদিক খোলা অবস্থার রয়েছে। বাহির থেকে ধুলা বালি, হাওয়া এসে পাঠ দান বিঘ্নিত হচ্ছে।
বৃষ্টি আসতেই চাল দিয়ে পানি পড়ে পাঠ দানের সময় বই পুস্তক, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক, পরিচ্ছদ বিজে নষ্ট হয়ে যায়। টিউবওয়েল থাকলেও প্রায় সময় নষ্ট হয়ে থাকে। নাই কোনো বাথরুম। কাজেই এই আধুনিক যুগে মানুষ গড়ার কারিগরি বিদ্যালয়ে একটি বাথরুম জরুরী প্রয়োজন। ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার তুলনায় নাই বেঞ্জ, এমনকি শিক্ষকদের চেয়ার, টেবিল অপ্রতুল।
সীমানা প্রাচীর ও বিদ্যালয় গৃহের চার দিকের বেড়া না থাকায় প্রায়ই জীব, জানোয়ার, শিয়াল, কুকুর রুমের ভিতরে মলমূত্র ত্যাগ করে, এলাকার কিছু মাদকাসক্ত নেষাখোর ব্যক্তি খোলা শ্রেণী কক্ষ প্রবেশ করে অপরিষ্কার করে রাখে । কাজেই বিদ্যালয়ের চার দিকে সীমানা প্রাচীর একান্ত প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওয়াজেদ আলী জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন অত্যান্ত আন্তরিক ও বিনয়ী । সবার প্রচেষ্টার প্রতি বৎসর বিদ্যালয় থেকে ভাল ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। এখানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারলে পাশের হার শতভাগ নিশ্চিত। ইউপি মেম্বার নুরুল ইসলাম বলেন, আমি বিদ্যালয়ের জন্য সব সময় প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাব।
বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি রহমতুল্লা (জুলী) বলেন, বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি জোর দাবী, বিদ্যালয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এনে শিক্ষার সুব্যবস্থা একান্ত কাম্য।
মহাদান ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জুয়েল বলেন ,আমি বিদ্যালয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনার সার্বিক সহযোগিতা করে যাব।তিনি এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সু- দৃষ্টি কামনা করেন। এহেন পরিস্থিতি সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি এলাকাবাসীর দাবি অতি জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এনে নিবিড় পল্লীর প্রত্যয়ান্ত অঞ্চলে গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার সুযোগদান একান্ত কাম্য।