আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। কেউ কেউ পোষ্টার, ব্যানার ও ফেসটুন লাগিয়ে ভোট এবং দোয়া প্রার্থনা করে চলেছেন। ইতোমধ্যেই শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনেও নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
এ আসনে মহাজোটের শরীক দল ওর্য়াকার্স পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তীর প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন শেরপুর জেলা ওর্য়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় কৃষক সমিতির শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি কমরেড রাজিয়া সুলতানা। তিনি দীর্ঘদিন যাবত কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের পাশে থেকে জনসেবা করে যাচ্ছেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি কমরেড আবুল বাশার বিগ্রেড গঠন করে জেলার ৫টি উপজেলার দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সামগ্রী, খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। বন্যা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক র্দুযোগে ছুটে যান দরিদ্র অসহায় মানুষের কাছে। তিনি ত্রাণ সহায়তা ছাড়াও ওইসব মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর লক্ষে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনটি গারোপাহাড়বেষ্টিত হওয়ায় এই নির্বাচনী এলাকায় প্রচন্ড শীত পড়ে। এই কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়ে এই নির্বাচনী এলাকার মানুষ। তাছাড়া গারো পাহাড়ে রয়েছে বন্যহাতির তান্ডব। বন্যহাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মানুষ। এসব এলাকার শীতার্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে তিনি প্রতি শীত মৌসুমে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে তিনি দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে নানা ধরনের সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে হাজির হন। যে কারনে তিনি সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে রাজিয়া সুলতানা মানব দরদী হিসেবে শেরপুর জেলায় সবার কাছে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন।
নেত্রী রাজিয়া সুলতানা ছাত্র জীবন থেকেই প্রগতিশীত ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। লেখাপড়া শেষ করে তিনি একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থায় চাকুরী করতেন। সেই চাকুরী ছেড়ে দিয়ে সরাসরি মানবসেবার লক্ষে রাজনীতিতে যুক্ত হন। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কর্মকান্ড সম্পর্কে বাংলাদেশের ওর্য়াকার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন অবগত হন। সেই সুবাদে তিনি রাজিয়া সুলতানাকে বাংলাদেশের ওর্য়াকার্স পার্টির সাথে যুক্ত করেন। ওর্য়াকার্স পার্টিকে সুসংগঠিত করার লক্ষে ২০২০ সালে রাজিয়া সুলতানাকে শেরপুর জেলা ওর্য়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সুনামের সাথে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
রাজনীতির বাইরেও তিনি বিভন্ন জনকল্যানমুলক সংগঠনের সাথে জড়িত এবং পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি অঙ্গীকার ফাউন্ডেশন, তৃণমুল নারী উদ্যোগক্তা ও শুকতারা মানবিক কল্যাণ সোসাইটির সাথে যুক্ত থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া রোটারী ক্লাব অব সোনারগাঁও ও হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতাল তার আহবানে নালিতাবাড়ীতে ক্যাম্প করে বিনামুল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছেন।
রাজিয়া সুলতানা নালিতাবাড়ী পৌশহরের পালপাড়া মহল্লার শিক্ষক পরিবারের সন্তান। তিনি শহরের আড়াই আনী বাজারের হিরন্ময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া করেছেন। এছাড়া তিনি সরকারী নাজমুল স্মৃতি কলেজে অধ্যয়ন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক অভিব্যক্তি প্রকাশ করে ওর্য়ার্কাস পার্টির নেত্রী কমরেড রাজিয়া সুলতানা বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকেই অধিকার বঞ্চিত মানুষদের পাশে থেকে কাজ করেছি। জীবনের বাকি দিনগুলোতেও মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যেতে চাই। তিনি আরো বলেন, সে লক্ষে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন থেকে মহাজোটের শরীকদলের ওর্য়ার্কাস পার্টি থেকে আমি মনোনয়ন চাইব। যদি ১৪ দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে জনগনের ভালোবাসা ও সর্মথন নিয়ে আমি বিপুল ভোটে পাশ করব। আর যদি মহাজোট আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য যে কাউকে দেন, তাহলে বৃহৎ স্বার্থে আমি তার বিজয়ের লক্ষে তার পক্ষেই কাজ করব ইনশাল্লাহ।