শেরপুরের নকলায় শিক্ষা, যোগাযোগ, কৃষি ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আশানুরূপ বাস্তবায়ন করেছে। চলমান রয়েছে বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ড। যার মধ্যে উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন ও উপজেলা অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলরুম উল্লেখ করার মতো। শেরপুর টাইমস ডটকম’র বিশেষ আয়োজন উন্নয়নে শেরপুর। আজ থাকছে ‘দশ বছরে এলজিইডি’র উন্নয়ন চিত্র’ এ নিয়ে শেরপুর টাইমস’র নকলা প্রতিনিধি জিয়াউল হক জুয়েলের বিশেষ প্রতিবেদন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র বাস্তবায়নে উল্লেখ্যযোগ্য কাজগুলো হলো, শিক্ষা খাতে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে সংস্কার প্রকল্পের অর্থায়নে ৪৭.৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ২০১১-১২ অর্থ বছরে সংস্কার প্রকল্পের অর্থায়নে ১৮২.০৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫টি ও পিইডিপি-৩ এর অর্থায়নে ৪৮৪.৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে পিইডিপি-৩ এর অর্থায়নে ৩১০.৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫টি ও আইডিপি’র অর্থায়নে ২৭৩.৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩টি, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে পিইডিপি-৩ এর অর্থায়নে ২৭৭.৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সংস্কার প্রকল্পের অর্থায়নে ১০০.০৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২টি ও পিইডিপি-৩ এর অর্থায়নে ৪৪.৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২টি, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে পিইডিপি-৩ এর অর্থায়নে ১৮৩.০৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫টি, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এনবিআইডিজিপি’র অর্থায়নে ২৮৭.৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫টি ও পিইডিপি-৩ এর অর্থায়নে এক কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়। এতে উপজেলায় ৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ২৩ কোটি ২৪ লাখ ৫২ হাজার টাকার কাজ বাস্তবায়ন করে এলজিইডি।
যোগাযোগ ক্ষেত্রে গত দশ বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৬ টি রাস্তার ৪২ কিলোমিটার ১১১ মিটারের উন্নয়ন কাজে ৩০ কোটি ৮ লাখ ১৯ হাজার ৪২৯ টাকা ও ২টি রাস্তার ১৭ কিলোমিটার ৫০০ মিটারের মেরামত কাজে ৪ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ৯৯৪ টাকা এবং ৯ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৮৭ টাকা ব্যয়ে ৫টি ব্রীজ (মোট ৪১৪ মিটার) নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। এতে যোগাযোগ উন্নয়নে ৬৮ কোটি ৫৭ লাখ ৭২ হাজার ২১০ টাকার কাজ বাস্তবায়ন করে এলজিইডি।
এছাড়া উপজেলার উরফা ইউনিয়নের তাড়াকান্দা এলাকায় ভোগাই নদীর উপর ১০০ মিটার রাবার ড্যাম নির্মাণ ও এইচবিবি রাস্তা উন্নয়নে ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং রাবার ড্যামের জন্য ৩টি রেগুলেটর নির্মাণ ও ভোগাই নদীর পার মাটি দ্বারা ভরাট করতে ৮৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩০৬ টাকা; উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে ২ কোটি ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭৯ টাকা, পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ৫টি বাড়ী (মুক্তি নিবাস) নির্মাণে ৪০ লাখ ৯৮ হাজার ২২২ টাকা, নকলা উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে ৫ কোটি এক লাখ ৭২ হাজার ২৪১ টাকার কাজ করে এলজিইডি। ৫০০ আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল নির্মাণে ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার ২৮২ টাকা এবং চন্দ্রকোণা বাজার উন্নয়নে এক কোটি ৮ লাখ ৮ হাজার ২১৫ টাকার কাজ বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি। এ গুলো ব্যতিতও এলজিইডি’র তত্বাবধানে ইউনিয়ন পর্যায়ে ছোট খাটো অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে বা চলমান আছে বলে সরজমিনে দেখা গেছে।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী বিভূতী মোহন পাল বলেন, গত দশ বছরে নকলা উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা সত্যিই আশাতীত। অন্য কোন উপজেলাতে এমন অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে কি-না তাতে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম সোহাগ বলেন, কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর প্রচেষ্ঠা, দিক নির্দেশনা ও পৃষ্ট পোশকতায় নকলায় যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে উপজেলাবাসী আজ মহাখুশি। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), প্রকল্প বাস্তবায়নে অফিস, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় উন্নয়ন কাজের দরুন নকলার প্রতিটি এলাকা আজ মডেলে পরিণত হতে চলছে।