শেরপুরের নকলায় বিশ্ব সাহিত্যের চলমান ডিআরএইচ প্রোগ্রামের বার্ষিক মূল্যায়নে পুরষ্কার বিজয়ী ৩ হাজার ২৫৫ শিক্ষার্থীর জন্য ৪ হাজার ২০৪ টি বই হস্তান্তর এবং সেরা সংগঠক হিসেবে ৫ শিক্ষককে সম্মাননা ও সনদ প্রদান করা হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর বুধবার সকালে নকলা বিআরডিবি হলরুমে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে ওইসব বই ও সম্মাননা প্রদান করাহয়। অন্যান্যদের মধ্যে ডিআরএইচ’র প্রোগ্রাম আফিসার মোঃ আশরাফুজ্জামান মন্ডল, একাডেমীক সুপারভাইজার ফারহানা জাহান সিরাজী, সংগঠক মোঃ মোশারফ হোসেন, এস এম শহীদ লিটন, দেলোয়ারা বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পরে উপজেলার ৩০ টি স্কুল ও ১৯ টি মাদরাসার মোট ৪৯ জন সংগঠকের হাতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পুরষ্কার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের জন্য বই, ৫ জন সেরা সংগঠকের হাতে সম্মাননা ও সনদ এবং উপজেলার সেরা ৫ টি প্রতিষ্ঠানকে পুরষ্কার হিসেবে সংশ্লিষ্টদের হাতে বই পরুষ্কার তোলে দেন অতিথিবৃন্দ।
তথ্য মতে, উপজেলার ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিার্থীর মাঝে মাধ্যমিক ও উচ্চশিা অধিদপ্তরের সেকায়েপ কতৃক পরিচালিত, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বাস্তবায়নে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি (ডিআরএইচ) এর আওতায় চলতি বছর নকলা উপজেলার ৩০টি স্কুল ও ১৯টি মাদরাসা হতে ৮ হাজার ৪৭৪ শিক্ষার্থী ডিআরএইচ’র মূল্যায়নে অংশ নেয়। এতে ৩ হাজার ২৫৫ জন পুরষ্কার বিজয়ী হয়। পুরষ্কার হিসেবে তারা পায় সেরা লেখকের ৪ হাজার ২০৪ বই।
২০১৭ সালে নির্বাচিত সেরা সংগঠকরা হলেন, চরমধুয়া দাখিল মাদরাসার এস এম শহীদ লিটন, কায়দা বালিকা দাখিল মাদরাসার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, খারজান উচ্চ বিদ্যালয়ের মোস্তাফিজুর রহমান, চরমধুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মোঃ আতিক-উর-রহমান ও নামা কৈয়াকুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের জেসমিন খাতুন। আর চলতি বছরে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্মান পায়- কায়দা বালিকা দাখিল মাদরাসা, খারজান উচ্চ বিদ্যালয়, চরমধুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, নামা কৈয়াকুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় ও বিহারিরপাড় এস ই এস ডি পি উচ্চ বিদ্যালয়।
অন্যদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার ৫৬টি স্কুল মাদরাসা হতে ৮ হাজার ২৭৪ শিক্ষার্থী ডিআরএইচ’র বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৫ হাজার ১৫৮ জন পুরষ্কার বিজয়ী হয়। তাদের জন্য ৭ হাজার ৯৯৮ টি বই পুরষ্কার হিসেবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংগঠকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই উপজেলায় ৬ জন শিক্ষক সেরা সংগঠকের সম্মাননা পান।
শেরপুর টাইমস/ বা.স