শেরপুর জেলা নকলা উপজেলায় প্রায় সব গুলো নদী, বিল, খাল ও জলাশয় দখলের প্রতিযোগিতার মহোৎসব। এই প্রতিযোগিতায় প্রায় অধিকাংশই দখলের রাজত্বে এগিয়ে কারন নেই কেই দেখার বা বলার।
দেশে নদী রক্ষায় আইন আছে তবে তার বাস্তবায়ন নেই, নদী রক্ষায় কমিটি আছে তবে ভূমিকা নেই। দেশি মাছের একমাত্র আশ্রয় নদী, বিল, খাল ও জলাশয় তাই মাছের বংশ রক্ষায় নদী জলাশয় একমাত্র আশ্রয়।
সরজমিনে দেখা গেছে, নকলা উপজেলার প্রায় অধিকাংশ নদী, বিল, খাল ও জলাশয় প্রভাবশালীদের দখলে। কারো নদী বা খালের পাশে আছে ১০ শতাংশ জমি বাস্তবে সেই দখল করেছে ১০০ শতাংশ খাস নদী বা জলাশয়ের জমি।
নকলা উপজেলার অন্যতম সূবর্নখালী, কূর্শা বিল, পেকুয়া বিল, বড়বিলা, মেদিডাঙ্গা, সুতিয়াখালী সহ আরো অনেক নদী আজ অধিকাংশই বেদখল। কেউ করেছে পুকুর কেউ করেছে ধান চাষ বা মাটির ব্যবসা।
বিগত কয়েক বছরে এই দখল মহা উৎসবে রূপ নিয়েছে। কারন এখানে দখল করলেই নিজের। প্রশাসন কোন ভূমিকা নেই। উদাহারন সরূপ নকলার কূর্শা, পেকুয়া, বিলের শতকরা ২৫ শতাংশ জলাশয় এরই মধ্যে দখলদারের কব্জায় চলে গেছে, সূবর্নখালী খালের পশ্চিম অংশের শতকরা ৫০ ভাগই দখলদারের দখলে। নামা কৈয়াকুড়ির সুতিখালী নদীর ৮০ ভাগ পুকুরে পরিনত করে দখলে নিয়েছে দখলদারেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, আজ পর্যন্ত নদী জলাশয় দখলের কোন উচ্ছেদ বা অভিযান নকলায় হয়নি।
নকলা উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব সরকার কে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষন ও এই দখলদারদের হাত থেকে নদী রক্ষায় করনী সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি অচিরেই জেলা ম্যাজিস্ট্র্যাটের সহয়তা নিয়ে নদী ও জলাশয় রক্ষায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে আশস্ত করেন। প্রশাসনের পাশাপাশি জনগনকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। ভবিৎষত প্রজন্ম রক্ষায় নদী রক্ষা কমিটি করতে হবে।