দিনভর নাটকীয়তার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) আশ্বাস ও পরবর্তীকালে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে ধর্মঘটের অবস্থান থেকে সরে এসেছে তারা।
আজ সোমবার সারা দিন ধর্মঘটে অটুট ছিল অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি। এর আগে বিআরটিএর সঙ্গে আলোচনা হয় নীতিমালা নিয়ে। সেটিও করা হবে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ। তবে নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত পুলিশি মামলার হয়রানি বন্ধে আজ রাত ১২টা থেকে ধর্মঘট পালনে বদ্ধপরিকর থাকে তারা।
আজ সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মালিক সমিতির ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দেখা করে তাঁদের দাবির কথা জানান। পুলিশ প্রতিনিধিদলে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আতিকুল ইসলাম নেতৃত্ব দেন। প্রায় আধা ঘণ্টা তাঁদের মধ্যে কথা হয়।
বৈঠকে মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। পুলিশ তাঁদের কথা শুনে আশ্বাস দেন। নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত মামলা হবে না। মামলা হলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে বলা হয়েছে। পুলিশের কথায় আশ্বস্ত হয়ে তাঁরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।
মালিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডেঙ্গু মহামারির কারণে নীতিগত জায়গা থেকে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তরে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে একটি সিদ্ধান্তের ফলে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছ। আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।’
তাদের দাবিগুলো ছিল সেবা খাতে বিআরটিএর অ্যাম্বুলেন্স থেকে প্রাইভেট কারের মতো আয়কর (এটিআই) নেওয়া বন্ধ; অনতিবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন; অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত টোল ফ্রি নীতি বাস্তবায়ন; দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের পার্কিং সুবিধা নিশ্চিতকরণ; অ্যাম্বুলেন্সে রোগী থাকলে পাম্পে তেল-গ্যাস নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং সড়কে হয়রানি মুক্ত ও নির্বিঘ্নে পথ চলার নিশ্চয়তা প্রদান।
এর আগে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাদের সঙ্গে আজ কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে তাদের নীতিমালা করতে হবে। বিআরটিএ অনেক আগেই এই বিষয়ে কমিটি গঠন করেছে। দুই মাসের মধ্যে এটি হয়ে যাবে, সেখানে সব বিষয় উঠে আসবে। রাস্তায় যাতে কোনো হয়রানি না করা হয় এর জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শককে জানানো হয়েছে।