সরকারের উন্নয়নের জোয়ারে ঢাকা ক্যাসিনো শহরে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। রাজধানীতে অবৈধ ‘ক্যাসিনো’য় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অভিযান ও যুবলীগের এক নেতার গ্রেপ্তারের ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মঈন খান বলেন, ‘আজ থেকে চার শত বছর আগে যখন এই শহর (ঢাকা) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর হিসেবে মোগল সামাজ্যের সময়ে, তখন বঙ্গদেশের রাজধানী এই শহরের পরিচয় ছিল মসজিরে শহর হিসেবে। আজকে সেই মসজিদের শহর পরিণত হয়েছে ক্যাসিনো শহরে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে নাকি মধ্য আয়ের উন্নয়নের দেশে বাংলাদেশকে পরিণত করেছে এই সরকার। মধ্য আয়ের নমুনার ঠেলায় যদি ঢাকা শহর লাসভেগাসে পরিণত হয়, তাহলে এই দেশ যখন উন্নত দেশে পরিণত হবে তখন ঢাকা শহর কোথায় যাবে, সেটা বলার কোনো সঙ্গতি আমার জানা নাই।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের ফুটপাতে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এই মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।
গতকাল বুধবার ঢাকার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
প্রশ্ন রেখে মঈন খান বলেন, ‘দেশের জনগণকে মিথ্যা ভাওতাবাজি দিয়ে এ দেশের উন্নয়নের নামে মানুষকে বিপদগামী করা হয়েছে। আমরা নাকি উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছি। আজকে উন্নয়নের জোয়ারে আমরা কোথায় ভেসে যাচ্ছি, বাংলাদেশের মানুষের নীতি-নৈতিকতা কোথায় ভেসে যাচ্ছে? বাংলাদেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল দুটি কারণে, প্রথম গণতন্ত্র এবং দ্বিতীয়ত এই দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। অর্থনৈতিক মুক্তির ঠেলায় আমরা লাসভেগাসে পরিণত হয়েছি। আর গণতন্ত্রের ঠেলায় আমরা একদলীয় স্বৈরশাসনে পরিণত হয়েছি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকারকে অপসারণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে পুনরায় বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব, যেটি একদিন করেছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান। যিনি গণতন্ত্রকে অতীতে একবার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, আমরা রাজপথে নেমেছি, আমরা রাজপথে থাকব, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব।’