যুক্তরাষ্ট্রে আমি একবারই গিয়েছি, তা-ও দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দায়িত্ব গ্রহণের সপ্তাহ দু-একের মধ্যে। আগে যাইনি সময়টা খারাপ ছিল বলে। মুসলমান নাম কিংবা দক্ষিণ এশীয় ভ্রমণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে নানা ধরনের হয়রানির খবর তখন প্রায়ই সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হোত। বলিউডের তারকা শাহরুখ খান কিংবা ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্দেজও বাদ যাননি। ওবামা পরিবর্তনের স্লোগান দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। খুবই শক্তিশালী স্লোগান: ‘উই উইল চেঞ্জ আমেরিকা’ এবং ‘ইয়েস, উই ক্যান’।
নিউইয়র্ক সিটির জেএফকে বিমানবন্দরেই পরিবর্তনের ছাপ পেয়েছিলাম। ইমিগ্রেশনে শুধু জানতে চেয়েছিল কদিন থাকব। আর কোথাও কেউ কিছু জিজ্ঞেস করেনি, ক্যাপিটল হিলেও নয়। ভেবে অবাক হয়েছি, সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে আমেরিকা এত দ্রুত বদলে গেল? ধারণা করি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পরও দ্রুতই রূপান্তর ঘটবে। তবে চারদিকে যেসব আলামত ও পণ্ডিতদের পূর্বাভাস, তাতে সেটা সুখকর না হয়ে দুঃস্বপ্নময় হওয়ার আশঙ্কাই প্রবল।
ওবামার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তাঁর আট বছরের শাসনকালের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা সিরিয়া। সেখানে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু এবং এক কোটিরও বেশি মানুষের বাস্তুচ্যুতি তিনি ঠেকাতে পারেননি। অভিযোগ আছে, ইসলামিক স্টেট বা আইএসের উত্থান হয়েছে তাঁর প্রশাসনের আশকারা অথবা পৃষ্ঠপোষকতায়। সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত করতে পারায় তাঁর যে সাফল্য, তা কেউ মনে রাখেনি। কেননা, তিনি না পেরেছেন আসাদকে সরাতে, না পেরেছেন আইএসকে রুখতে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বুশ জুনিয়রের কথিত ‘সভ্যতার লড়াই’ যে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র যুক্তরাজ্যের অন্য দেশে সামরিক অভিযানের ক্ষমতা প্রায় নিঃশেষ করে দিয়েছে, সে কথাও কেউ বলে না। বুশের শুরু করা সরকার বদলানো (রেজিম চেঞ্জ) ডকট্রিন ব্যর্থ হওয়ার দায়ও তাঁর ওপরই চাপছে। বুশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণহীন বাজার উদারীকরণের পরিণতিতে পুঁজিবাজারের আকস্মিক ধস এবং বিশ্বমন্দার ধাক্কা সামলানোর কৃতিত্বের দাবিদার তিনি হলেও ডেমোক্রেটিক পার্টির একই সঙ্গে প্রেসিডেন্সি এবং কংগ্রেসের উভয় কক্ষে নিয়ন্ত্রণ হারানোর দোষ চাপছে তাঁর ওপরই। সুতরাং, আমেরিকাকে আবারও মহান বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে আজ অভিষিক্ত হচ্ছেন নব্য রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২.
বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতির নীতিনির্ধারকদের বার্ষিক মিলনমেলা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে এবার এক নতুন তারকার আবির্ভাব ঘটেছে। তাঁর নাম অ্যান্থনি স্কারামুচি। বিশ্ব যখন এক অজানা গন্তব্যের পথে পা বাড়ানোর ঝুঁকি বা বিপদ নিয়ে উদ্বিগ্ন, তখন দৃশ্যপটে হাজির হয়েছেন এই ব্যক্তি। বিনিয়োগ ব্যবসায় সুখ্যাত বড় পুঁজিপতি স্কারামুচি লেখক হিসেবেও পরিচিত। তা ছাড়া আমেরিকার ডানপন্থী টিভি নেটওয়ার্ক ফক্স নিউজে তিনি ওয়ালস্ট্রিট উইক নামের একটি অনুষ্ঠান করে থাকেন। দাভোসে সমবেত রাজনৈতিক নেতা ও নীতিনির্ধারকেরা যে এবার তাঁর প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন, সেটা বিনিয়োগকারী, লেখক বা টিভি ব্যক্তিত্ব—এসব পরিচয়ের কারণে নয়। স্কারামুচি সেখানে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে। তিনি তাঁদের সবাইকে আশ্বস্ত করতে গেছেন যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প খারাপ কিছু করবেন না। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভালো করার মধ্য দিয়ে অন্যদেরও ভালো করবেন। তবে তাঁর ভাষায় পরিবর্তনটা গোলমেলে (ডিসরাপটিভ) হবে বলেও তিনি স্বীকার করেছেন। মিস্টার ট্রাম্প আজ দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব কাজ করার আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, সেগুলো সত্যিই তিনি করবেন কি না, সেটাই সবার প্রশ্ন।
নির্বাচিত হওয়ার আগে ট্রাম্প যেসব বেসামাল মন্তব্য করেছেন, সেগুলো ভোটের বাজারের কথকতা ভেবে অনেকে সান্ত্বনা খুঁজেছেন। কিন্তু নির্বাচনী ফল প্রকাশ ও দায়িত্বভার গ্রহণের মাঝখানের প্রায় ১০ সপ্তায় তিনি যত বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, সেগুলো নিরসনে চার বছর খুবই কম সময়। এত অল্প সময়ে এত বেশি মানুষকে চটানোর কাজটি আর কারও পক্ষে সম্ভব বলেও মনে হয় না। তিনি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে চীনকে চটিয়েই থামেননি, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ভণ্ডুল করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ভবিষ্যতে তা উল্টে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নিজ দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে যাচ্ছেতাইভাবে হেয় করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টির কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে তথ্য হাতিয়ে তা ফাঁস করার অপকর্মে রাশিয়ার ভূমিকার কথা অনেক আপত্তির পর মেনে নিলেও তিনি তার দোষ চাপিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদের ওপর। তাঁর নিজের সম্পর্কে স্পর্শকাতর তথ্য রুশদের হাতে থাকার বিষয়ে প্রকাশিত খবর ফাঁস হওয়ার জন্য তিনি উল্টো দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর একহাত নিয়েছেন। তাঁর এসব খ্যাপাটে কার্যক্রমে ব্যতিক্রম অবশ্য আছে এবং তিনি হলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের কোনো সমালোচনা তো নেই-ই, বরং তাঁর কথায় সহযোগিতাপূর্ণ ভবিষ্যতের আভাস আছে। ট্রাম্প-পুতিনের রসায়ন যদি রুশ-মার্কিন বন্ধুত্বের রূপ পায়, তাহলে অবশ্য দুনিয়ার অনেক সমস্যারই নাটকীয় সমাধান হতে পারে। তবে এখনো অলীক বলেই মনে হয়।
ট্রাম্প আগাম ঘোষণা দিয়েছেন যে, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার শর্তপূরণের যে সুযোগ ওবামা প্রশাসন দিয়েছিল, তা বাতিল করে দেবেন। আমাদের অনেক পরিবারেই এখন উৎকণ্ঠা—কখন ছেলেমেয়েরা সেখান থেকে বিতাড়িত হন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বাণিজ্য চুক্তির যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে বলে মনে করেন, সেগুলো বাতিল করবেন এবং স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করবেন। এ ক্ষেত্রে তঁার বৃহত্তম বাণিজ্য শরিক চীন একধরনের বাণিজ্যিক যুদ্ধের বিপদের কথা বলেছে। দাভোসে সবাই দেখছে মুক্তবাণিজ্যের চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে সমাজতন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট সি, আর অবাধ বাণিজ্যের পথে দেয়াল তোলার প্রত্যয়ে অনড় হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! আবার মি ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদকে ‘গুজব’ অভিহিত করলেও বিশ্বের প্রধান দূষণকারী দেশ চীন বলছে, প্যারিস চুক্তি (বৈশ্বিক উষ্ণায়নের হার ২ ডিগ্রির মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য) ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
ইউরোপের যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এত দিন ন্যাটো নামের সামরিক জোটে শরিক হয়ে যৌথ নিরাপত্তার বলয়ে আশ্বস্ত ছিল, তারা এখন উদ্বেগের সঙ্গে ভাবছে, ট্রাম্প তাঁর ঘোষণায় অটল থাকলে তাদের সুরক্ষার ভবিষ্যৎ কী? নির্বাচনের পর প্রথম সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প লন্ডনের দ্য টাইমস ও জার্মানির বিল্ড পত্রিকাকে আবারও বলেছেন যে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয় সংস্থাই অপ্রাসঙ্গিক বা তামাদি হয়ে গেছে।
৩.
যুক্তরাজ্য ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ট্রাম্প সেই ব্রেক্সিটের পক্ষে। সুতরাং, ব্রেক্সিটের প্রচারে নেতৃত্ব দেওয়া একজন রাজনীতিক ও খণ্ডকালীন সাংবাদিক মাইকেল গোভকেই যে তিনি তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন, এটা অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু এর পাশাপাশি তাঁর একমাত্র সংবাদ সম্মেলনটির চিত্র যদি মেলানো যায়, তাহলে তা থেকে গণমাধ্যমের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির কিছুটা আভাস মেলে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান টিভি নেটওয়ার্ক সিএনএনের সাংবাদিকের সঙ্গে তাঁর রূঢ় আচরণ সেদিন অনেককেই বিস্মিত করেছে। এর আগেও তিনি সিএনএন এবং নিউইয়র্ক টাইমস-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেড়েছেন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করেছেন। তাঁর তথ্যসচিব হবেন যিনি, সম্প্রতি তিনি আভাস দিয়েছেন যে হোয়াইট হাউসে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের যে প্রবেশাধিকার আছে, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সংবাদ সম্মেলন প্রথারও ইতি ঘটবে।
হোয়াইট হাউসের খবরাখবর সংগ্রহকারী সাংবাদিকেরা ‘ইউএস প্রেস কোর’ নামে পরিচিত। তাঁরা ট্রাম্পের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন (সূত্র: কলাম্বিয়া জার্নালিজম রিভিউ)। তাঁরা প্রেসিডেন্টের দপ্তর বা প্রশাসনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন, তা ওই চিঠিতে তুলে ধরেছেন। চিঠিতে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় থেকে শুরু করে গণমাধ্যমের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তাকে একটি প্রবণতা হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁদের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘টানাপোড়েন’ হিসেবে চিত্রিত করেছেন। টুইটারে ব্যক্তিগতভাবে কোনো কোনো সাংবাদিককে উপহাস করা এবং হুমকি দেওয়া, শারীরিক প্রতিবন্ধিতার জন্য ব্যঙ্গ করা, মামলার হুমকি ইত্যাদির উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘আপনার এগুলো করার অধিকার রয়েছে এবং এটি আপনার মর্জির বিষয়।’ সংবিধানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গ্যারান্টি দেওয়া হলেও প্রেসিডেন্ট তার প্রতি কীভাবে সম্মান দেখাবেন, সে কথা বলা নেই। এরপর তাঁরা লিখেছেন যে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আপনি কীভাবে কাজ করবেন, সেই নিয়মনীতি ঠিক করার অধিকার যেমন আপনার আছে, আমরা কীভাবে কাজ করব, সে রকম নিয়ম তৈরির অধিকারও আমাদের আছে। আমাদের কলাম–ইঞ্চি ও সম্প্রচারসময় ব্যবহার করে আপনি যেহেতু প্রভাব সৃষ্টি করতে চান, সেহেতু আমাদের পাঠক, শ্রোতা ও দর্শকেরা কীভাবে সেরা সেবাটি পেতে পারেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ারও আমাদের রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের সংবাদদাতারা এরপর যে আটটি বিষয় তুলে ধরেছেন, সেগুলো সংক্ষেপে অনেকটা এ রকম: প্রবেশাধিকার (অভিগম্যতা) থাকলে ভালো, কিন্তু থাকতেই হবে এমন নয় (বিকল্প উপায়ে খবর বের করা যাবেই); কী লেখা যাবে বা যাবে না (অফ দ্য রেকর্ড ব্রিফিং), তা ঠিক করব আমরা—আপনি নন; আপনার মতামত সম্পূর্ণভাবে প্রতিফলনের সুযোগ দিতে আপনার মুখপাত্র বা প্রতিনিধিদের কতটা সম্প্রচারসময় দেওয়া হবে, তা আমরা ঠিক করব, কিন্তু তার মানে তথ্যবিকৃতি বা সত্য এড়ানোর অফুরন্ত সুযোগ নয়; বস্তুনিষ্ঠ সত্যে আমরা বিশ্বাস করি এবং আমরা আপনার ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করব (টুইটে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হলে তা ভুল প্রমাণের কাজটি আমরা বারবার করব); মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে আমরা সরকারের নীতি বাস্তবায়নের বিশদ খুঁটিনাটি তুলে ধরব; রাজনৈতিক পরিসর ও গণমাধ্যমের প্রতি যে ব্যাপক অবিশ্বাস বা আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে, তা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং সে কারণেই আমরা আমাদের পেশাগত মান বাড়াব; আমরা একজোট হয়ে কাজ করব (অতীতে বিভাজনের যে চেষ্টা আপনি করেছেন, তার অবসান ঘটেছে এবং আমরা একে অন্যের সহযোগিতায় কাজ করব)। সবশেষে তাঁরা বলেছেন, আপনি হয়তো আট বছর এই দায়িত্বে থাকবেন। কিন্তু সাংবাদিকেরা এই প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় থেকে আছেন এবং এই মহান গণতন্ত্রে আমাদের ভূমিকা স্বীকৃত এবং বারবার সেই স্বীকৃতির নবায়ন হয়েছে। আমরা কে এবং কেন এখানে আছি, সেই মৌলিক প্রশ্নটি আমাদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।
হোয়াইট হাউসের সংবাদদাতারা ট্রাম্পকে যে শুভকামনা জানিয়ে তাঁদের চিঠি শেষ করেছেন, সে কথাটি অবশ্য আমরাও বলি, ‘আপনার অভিষেক আনন্দময় হোক।’
কামাল আহমেদ: সাংবাদিক।