শেরপুরে এক ড্রাইভারকে মারধর করার অভিযোগে ৭ মে রোববার বিকেলে জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র খোয়ারপাড় মোড়ে পরিবহন শ্রমিকরা ঘন্টাব্যাপি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে । পরে সদর থানার ওসি ও শ্রমিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ৩ সহকারী কমিশনার ও নির্বার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট জাকির হোসেন, মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম ও কোহিনুর জাহান খোয়ারপাড় মোড়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসায়। এসময় তাঁরা ট্রাক-বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে গাড়ীর ফিটনেস, কাগজাদি পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. শহিদুজ্জামান মালভর্তি একটি ট্রাককে থামতে বলে। ট্রাক ড্রাইভার তাঁর গাড়ীটি যথাস্থানে না থামিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে অবস্থান নেয়।
এতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে ড্রাইভার কেনা মিয়াকে চড় মারে এবং গাড়ী থেকে নামিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে নিয়ে আসে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে মূহুর্তের মধ্যে শত শত শ্রমিক ট্রাক-বাস আটো থামিয়ে পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে ফেলে। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ওই পুলিশ সদস্যের বিচার দাবী করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
কয়েক মিনিটের মধ্যে শেরপুর জেলার ৪ উপজেলা, জামালপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার আরও তিনটি উপজেলার সকল গাড়ী এসে খোয়ার পাড় মোড়ে আটকে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে সদর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মজিবুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের আশ্বাস দিলে সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্রমিক নেতা মজিবর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে শ্রমিককে চড়-থাপ্পর মেরে বিচার করা আইনের মধ্যে পড়েনা। এটা অপরাধ। যে পুলিশ কর্মকর্তা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁর বিচার করতে হবে।
শেরপুর সদর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে যদি অপরাধ প্রমানিত হয় তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসপি মহোদয় ব্যবস্থা নেবেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের ওই ৩ নির্বার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।