শেরপুরের ঝিনাইগাতী সদর বাজারে সড়কের দুই পাশের ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিকল থাকায় পানি নিষ্কাশনের আর কোন উপায় না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে। আর জমে থাকা সেই পানি নামতে লাগে অন্তত দুই-তিন ঘন্টা। পানি নেমে গেলেও ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা থেকে যায়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
প্রধান সড়কে ময়লা স্তুপ ও ড্রেন দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় স্বাভাবিক পানির প্রবাহ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারের থানা মোড় এলাকা হতে শিমুলতলী এলাকার প্রধান সড়কের দুইপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিকল থাকায় পানি জমে আছে। তাতে ময়লার স্তুপ পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেন সংস্কার না করায় কোথাও কোথাও ড্রেনের ওপর জন্মায়ছে ঘাস। ঝিনাইগাতী সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সড়কের পাশেই রাখা হয়েছে ময়লার স্তুপ। আবার থানা মোড় এলাকা থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কের পূর্ব পাশের ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিকল থাকায় জমে থাকা পানির র্দুগন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব। পথচারীরা নাক ধরে সড়ক পারাপার হচ্ছে।
পথচারী মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘এ বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছে যে, আমরা সড়কের একপাশ থেকে অন্য পাশে যেতে চাইলে জমে থাকা পানি পায়ে লাগলে সাবান দিয়া ধুইলেও গন্ধ যায় না।’
বাজারের ব্যবসায়ী মো. সোহেল মিয়া বলেন, ‘ঝিনাইগাতী বাজার থেকে প্রতি বছর প্রায় দুই কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। অথচ আমরা ব্যবসায়ীরা ড্রেনের পচা দুর্গন্ধে দোকানে বসে থাকতে পারি না।’
বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক আহমেদ বলেন,‘বাজারের ড্রেনের দুর্গন্ধ ব্যবসায়ীদের পাশা-পাশি পথচারীদেরও ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ দুর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পেতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রেনগুলো সম্প্রসারণ করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের এ নেতা।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেন, ‘এই সমস্যা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’