গারো পাহাড়ের হলদিগ্রামে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে রোববার এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে পাহাড়ে উৎসবের আমেজ। পাকা ঘর বুঝে পাওয়ার খবরে আনন্দে ভাসছে গৃহহীন পরিবারগুলো।
মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি ও গৃহহীনদের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৪ জেলার ৪৫৯ উপজেলার ৫২ হাজার ৯৪৫ পরিবারকে ২ শতক জমি ও একটি করে সেমিপাকা ঘর তুলে দেয়া হচ্ছে।
এবার শেরপুর জেলার ১৬৭টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন ঘর ও জমি।
শেরপুর সদরসহ পাঁচ উপজেলায় প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট ব্যয় তিন কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
গৃহহীনদের একজন নিশা রানী হাজং বলেন, ‘ বাপুরে, মেলা কষ্টকরে ঝুঁপড়ি টুপুড়ি বাইন্ধা পাহাড়ের ঢালুতে থাকতাম। হাতির ঢড়ে ঘুমাইতে পারতাম না। মেলা জায়গায় ঘুরছি। কেউ থাহার জাগা দেয় নাই। প্রধানমন্ত্রী ঘরও দিতাছে, জাগাও দিবো। তাউ তিনি আমাগো এ হলদি গেরামের মানুষের ভিডিওর মাধ্যমে নিজের হাতে দিবো। আমরা খুব খুশিতে আছি।’
আ:হক বলেন, ‘আমি বউ বাচ্চা লইয়া ভাসমান অবস্থায় ঘুরছি। এখন সরকার আমারে পাহাদালান ঘর দিতেছে। আমি খুব খুশি’।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশের একজন মানুষকেও গৃহহীন রাখবেন না। এজন্য তিনি ভূমিহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।