শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের ছোট গজনী এলাকায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আদিবাসীদের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত গভীর নলকূপটি (সাবমারসিবল) অকোজে হয়ে পড়ে আছে। এতে ওই গভীর নলকূপটি এলাকাবাসীর কোনো উপকারে আসছে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও এলাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার পাহাড়ি এলাকা গুলোতে বছরের শুরু থেকে মে মাস পর্যন্ত বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। এ খাবার পানি সংকটে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আদিবাসীদের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ছোট গজনী এলাকায় একটি গভীর নলকূপ (সাবমারসিবল) স্থাপন করা হয়। স্থাপনের চার থেকে পাঁচ দিন এ নলকূপের সুফল ভোগ করে এলাকাবাসী। এরপর থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত নলকূপটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
ছোট গজনী এলাকার আমরোস মারাক বলেন, গভীর নলকূপটি পানি খাওয়ার জন্য স্থাপন করেছে। অথচ মাত্র চার-পাঁচদিন পানি খাওয়ার পর আজ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। আমরা খাবার পানির সংকটে আছি।
উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেশ খকশি বলেন, উপজেলার ছোট গজনী এলাকার টিলা ও নামা পাড়া এলাকার বাসিন্দাদের পানি খাওয়ার জন্য সাবমারসিবল স্থাপন করা হয়। নলকূপটি নষ্ট হয়নি। স্থানীয় আমরোস মারাকের বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটার থেকে বিদ্যুত সংযোগ এনে সাবমারসিবলটি চালানো হয়। কিন্তু বিদ্যুত সংযোগ নেওয়া তারগুলো চুরি হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে এটি বন্ধ আছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে পুনরায় সাবমারসিবলটি চালু করা হবে বলে জানান এ আদিবাসী নেতা।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ বলেন, খোঁজ নিয়ে গভীর নলকূপটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।