প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি শেখ হাসিনার প্রথম বিদেশ সফর। দেশে ফেরার পথে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, দেশ দুটিতে ছয় দিনের সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির মিউনিখে একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে বৃহস্পতিবার থেকে দুদিনব্যাপী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হচ্ছে।
এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে একটি প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করবেন।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ১টায় মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন। মিউনিখে প্রধানমন্ত্রী শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও হেলথ ক্যাম্পেইনারদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
মিউনিখে পৌঁছার কয়েক ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী শেরাটন হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক জার্মানির বাংলাদেশ মিশন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।
শেখ হাসিনা পরের দিন নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তৃতা করবেন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর আলোচনায় অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) আয়োজিত ‘হেলথ ইন ক্রাইসিস-হু কেয়ার্স’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ২০১৭ সালের নোবেল বিজয়ী পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রচার সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিয়াট্রিস ফিন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) শীর্ষ প্রসিকিউটর ড. ফাতৌ বেনসৌদার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী সিমেন্স এজির প্রেসিডেন্ট ও সিইও জোয়ে কায়িজার এবং ভারিদোসের সিইও হ্যান্স উল্ফগং কুঞ্জের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট বোর্জ ব্রেন্ডি এবং জিগসাওয়ের সিইও জারেড কোহেনের যৌথভাবে আয়োজিত এক নৈশভোজ সভায় অংশ নেবেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাজ এ সিকিউরিটি থ্রেট’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় যোগ দেবেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ থেকে আবুধাবিতে পৌঁছাবেন এবং আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে (এডিএনইসি) ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স এক্সিবিশনের (আইডিইএক্স) উদ্বোধনী সেশনে যোগ দেবেন।
এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক এবং ইউএইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং আমিরাত অব দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মাদ বিন রশিদ আল মাকতুম ও অন্যান্য নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা আল বাহার প্যালেসে ইউএইর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক মরহুম শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের স্ত্রী শেখা ফাতিমা বিনতে মুবারক আল কেতবির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী সেন্ট রেগিস আবুধাবি হোটেলে অনুষ্ঠেয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে দেশে ফিরবেন।