বৃষ্টি না হলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি। ফলে অবনতি হয়েছে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ১৪ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (২০ জুন) সকালে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, পাহাড়ি ঢলে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে জামালপুরের ৬ উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।
প্রতিদিন নতুন করে বন্যার পানি প্রবেশ করে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ ও দেওয়ানগঞ্জে উপজেলা পরিষদে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
ইসলামপুর উপজেলার পার্থর্শী কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া ও ইসলামপুর সদর ইউনিয়ন; মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর, মাহমুদপুর আদ্রা, ও ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন; মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালী ও চরপাকেরদহ ইউনিয়ন; সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা, ইউনিয়ন; বকশিগঞ্জ উপজেলার সাদুরপাড়া, মেরুরচর, বগারচর এবং জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের বন্যা কবলিত ৫০টি পরিবারকে রেলওয়ে স্কুল আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। দুর্গত এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বন্যা দুর্গতদের জন্য অগ্রিম ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।