মারাত্মকভাবে করোনা ভাইরাস প্রভাব ফেলেছে চীনে। বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসটি নিয়ে জনমনে ভয়ের অন্ত নেই। চীনের উহান শহরের একটি মাছের বাজার থেকেই এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মাঝে।
এই ভাইরাসে ছোট বড় সবাই আক্রান্ত হতে পারে। তবে জানেন কি? করোনা ভাইরাস সম্পর্কে ১১ টি তথ্য আপনাকে এই ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে পারবে-
১. বিজ্ঞানীরা সাতটি পৃথক করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যা মানুষকে সংক্রমিত করছে এবং মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
২. ছোঁয়াচে রোগ হওয়ার কারণে যে কারো মাধ্যমেই এই ভাইরাসটি অন্যের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।
৩. সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হলো করোনা ভাইরাসের লক্ষণ হিসেবে সাধারণ অসুস্থতা প্রকাশ পায়।
৪. এর লক্ষণগুলো সাধারণত সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা, কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর এসবের মধ্যেই সমীবদ্ধ থাকে। তাই এসব নিয়ে অবহেলা করবেন না।
৫. শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এর ফলে অনেকেরই নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগও পরিলক্ষিত হয়।
৭. সৌদি আরবে ২০১২ সালে প্রথম প্রকাশিত মেরস (মিডিল ইস্ট রেস্পিটারি সিন্ড্রোম) করোনা ভাইরাস বেশিরভাগ রোগীদের মধ্যেই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। এটি তখন কমপক্ষে ২৫ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।
৮. সারস (গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সিন্ড্রোম) ছিল আরেকটি মারাত্মক করোনা ভাইরাস। এটি ২০০৩ সালে প্রভাব বিস্তার করে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার দুই ডজনেরও বেশি দেশে।
৮. মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাস যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে:
* কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে।
* কারো সঙ্গে হাত মিলানো বা স্পর্শের মাধ্যমে।
* এই ভাইরাস যদি কোনো বস্তু বা জিনিসে থাকে তবে তা স্পর্শ করার পর সেই হাত দিয়ে মুখ, নাক বা চোখ স্পর্শ করলে ভাইরাসটি মানবদেহে প্রবেশ করে।
৯. এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে সক্ষম নয় কোনো ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা। গ্যালভাস্টনের ইউটিএমবির গবেষকরা এই ভাইরাস ধ্বংসে একটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছেন।
১০. যেসব সাবধানতার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি মোকাবিলা করবেন-
* অন্তত ২০ সেকেণ্ড সময় নিয়ে হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে।
* হাত না ধুয়ে কখনো চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না।
* ঠাণ্ডা জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা বন্ধ করুন।
১১. উট এবং বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে করোনা ভাইরাস থাকে। এজন্য এসব প্রাণী থেকে সাবধান থাকুন।
সূত্র: খৌডটকম