লক্ষ্মীপুরে আরাফাত রহমান রিশাদ (৯) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রিশাদের মা রাহিমা বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। তবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষক বেলাল হোসেনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
রিশাদ সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বড় আউলিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আরিফুর রহমানের ছেলে। শিক্ষক বেলাল হোসেন বড় আউলিয়া দারুস সুন্নাহ নুরানি হাফিজিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক। রিশাদ ওই প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
রিশাদের মা রাহিমা বেগম জানান, শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী না থাকার অভিযোগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে রিশাদকে বেদম বেত্রাঘাত করেন শিক্ষক বেলাল হোসেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম হয়। তবে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে জানাতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু শিক্ষকের বেত্রাঘাতে রিশাদ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি পরিবারকে জানায়। তখন তারা শরীরে জখমের চিহ্ন দেখতে পান। পরদিন পরিবারের লোকজন তাকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
ঘটনার পর থেকে শিক্ষক বেলাল হোসেনের মোবাইলফোন বন্ধ রয়েছে।
তবে ওই মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন আলম বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। ছাত্রকে এভাবে মারা ঠিক হয়নি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।