চলন্ত ট্রেনে বাংলাদেশি নারীকে শ্লীলতাহানি
চলন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেসে বাংলাদেশি নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিএসএফ কনস্টেবল বীরান্না ভাবীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে বিএসএফ। তাকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি জানিয়েছেন, বিএসএফ আইনে বিচার না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিচার হবে সিভিল আদালতে। সেই মত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রয়োজনে অভিযুক্ততে শনাক্ত(টিআই প্যারেডে) করার জন্য নির্যাতিতা নারীকে কলকাতায় ডাকা হবে। এই বিষয়টি মামলার প্রয়োজনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তদন্তকারী এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে সাহায্য চেয়ে তারা বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। গত সোমবার সকাল সোয়া সাতটা নাগাদ কলকাতা স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর এক বাংলাদেশি নারী যাত্রী শৌচাগারে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ সদস্য বীরান্না ভাবী তাকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
গত ১৯শে জানুয়ারি ঢাকা থেকে কলকাতায় সপরিবারে বেড়াতে এসেছিলেন মহিলা। সে দিন তারা ফিরছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী, সন্তান ও দেবর। নির্যাতিতা নারীর স্বামী ট্রেনের টিকিট পরীক্ষককে ঘটনাটি লিখিতভাবে জানান। এরপর গেদে স্টেশনে গাড়ি থামলে স্টেশন ম্যানেজারকে নির্যাতিতা নারীর স্বামী লিখিত অভিযোগ জানান। সেটির ভিত্তিতেই জিআরপি ভারতীয় পেনাল কোডের ৩৫৪(ক) ধারা অনুযায়ী শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করেছে। তবে বিএসএফ দ্রুততার সঙ্গে ঘটনার নিজস্ব তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে যে, ঘটনা সত্য। সঙ্গে সঙ্গে তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।
মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্বে বর্তমানে নিয়োজিত বিএসএফ। ৯৯ ব্যাটালিয়ানের ২০ জন সদস্য এই ট্রেনের পাহারায় নিযুক্ত থাকে। কলকাতা স্টেশন থেকে রওনা হয়ে ভারতের অন্তিম স্টেশন গেদেতে গাড়ি থামলে তারা নেমে যায়। ওপারে নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ পুলিশ।
সূত্র: মানবজমিন