উত্তরায় গার্ডার পড়ে নিহতের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এমন ঘটনায় জড়িতদের ব্ল্যাক লিস্ট করতে হবে। এ ধরনের কাজ প্রকল্পের পিডি ঠিকাদার এবং সংশ্লিষ্টরা কেমন করে করল। কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে কেন গার্ডার তোলা হলো সেটি বোঝা যাচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে গভীর তদন্ত করতে হবে। সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানী শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক ব্রিফিং শেষে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন— মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্নআয়ের মানুষ অনেক কষ্টে আছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এ ছাড়া খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষির সঙ্গে যুক্ত, সেচ, গুদাম তৈরি পরিবহণ, পরিচালন, সার, বীজ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও ভর্তুকি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়টি ভেবে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত ও অন্যান্য দেশ যদি কিনতে পারে, তা হলে আমরাও কিনতে পারব। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা ভেবে দেখবেন। বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলা সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া বর্তমান ডলার সংকট মোকাবিলা অন্য কোনো দেশের মুদ্রার সঙ্গে সোয়াব করা যায় কিনা সে বিষয়ে ভেবে দেখার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া সুইচ গেট নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ সার্বিক মন্দার আভাস দিচ্ছে। আমরা তো এর বাইরে নই। ফলে একটু সতর্ক অবস্থায় আছি। ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো চলমান। এটি জটিল যুদ্ধ। কবে শেষ হবে তা বলা যায় না। এ জন্য আমরা সাবধানে প্রয়োজনীয় ব্যয় করছি। অহেতুক ব্যয় করা ঠিক না। এ কারণে পলিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেকে বলেছিলেন— আমরা শ্রীলংকার মতো হয়েছি। কিন্তু আমরা শ্রীলংকা হইনি।
তিনি বলেন, অনেকে বলেছিলেন— ঈদের পর রেমিট্যান্স কমে যাবে। কিন্তু আমরা ৩০ শতাংশ রেমিট্যান্স বেশি পেয়েছি। সর্বশেষ রেমিট্যান্স প্রবাহ অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। এক্সপোর্টের হাওয়া ভালো। এনবিআরের স্বাস্থ্য ভালো। আমরা তো খাদে পড়বই না। আশা করছি সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ আমাদের বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকবে না। লোডশেডিং কমে আসবে বলে আশা করছি।
প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ডলারের ক্রাইসিস সারাবিশ্বে চলছে। তবে এখন ডলারের সংকট অনেক কমে গেছে। একবারে হতাশ হওয়া ঠিক না। বিশ্ব মন্দার দর্শন আমরা হয়তো পারব না। কিন্তু তার পরও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি জানান, বর্তমান তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও দেশে না কমার কারণ হলো— এখন যে তেলগুলো আসছে সেগুলোর আগের করা এলসির। আর ৯০, ৯৫ ডলারের করা এলসির তেল আসতে আরও দেড় থেকে দুই মাস সময়