শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় দেড় মাস আগে খুজে পাওয়া সেই বাক প্রতিবন্ধী ছেলেটি আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারী) সকালে তার বড় ভাইয়ের মাধ্যমে তার বাবা মার কাছে ফিরে গেল।
বৃহস্পতিবার সকালে বারমারী বাজারের পোড়াগাঁও ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টার থেকে পোড়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আজাদ মিয়া প্রতিবন্ধী আলমগীর হোসেনের বড় ভ্ইা জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে তাকে বুঝিয়ে দেন।
প্রতিবন্ধীর বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তাদের বাড়ি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলা সদরের রিচি ইউনিয়নের রিচি গ্রামে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে প্রতিবন্ধী আলমগীর হোসেন সবার ছোট। সে প্রায় তিন মাস আগে বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়। এরপর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে তার ভাইকে খুজছিলেন। শেরপুর টাইমস সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে “ছেলেটি কার ?” এই শিরোনামে মোবাইল নম্বরসহ একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই খবরটি ওই প্রতিবন্ধীর পরিবারের লোকজনের নজরে পরে। খবরে উল্লেখিত মোবাইল নম্বরে ফোন করে ও ভিডিও কল করে নিশ্চিত হন যে এই বাক প্রতিবন্ধী তার ভাই আলমগীর। পরে বুধবার রাতে তাকে নেয়ার জন্য শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারমারী বাজারের ডিজিটাল সেন্টারে আসেন।
ওই বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মাইনুদ্দিন, ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মশিউর রহমান ও তার সহকর্মী আবুবক্কর সজীব জানান, খুজে পাওয়া ওই বাক প্রতিবন্ধীকে দেড় মাস তাদের হেফাজতে রেখে ভরন পোষন করে আসছিলেন। কিন্তু তার বাবা মার কাছে ফিরে যাওয়ার আকুতি ও কান্নকাটি দেখে সাংবাদিক এম. সুরুজ্জামানের মাধ্যমে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জন্য উদ্যোগ নেন। প্রকাশিত সংবাদের সুত্রধরে হারিয়ে যাওয়া বাক প্রতিবন্ধী ভাইকে খুজে পেয়ে প্রতিবন্ধীর বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন আবেগাল্পুত হয়ে অশ্র“সিক্ত কন্ঠে বলেন, এখনো দুনিয়ায় ভাল মানুষ আছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মো. আজাদ মিয়া, সাংবাদিক এম. সুরুজ্জামান, স্থানীয় কৃষক লীগের সভাপতি আবু সাইদ, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলুয়ার হোসেন, যুবলীগ সভাপতি মোরাদুজ্জামান মোরাদ, ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ও রহিম সওদাগর প্রমুখ।