পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানি দেওয়া পশুর গোশস্ত কয়েক দিন পর্যন্ত সংরণ করা হয় ফ্রিজে রেখে। যার ঘরে ফ্রিজ আছে, তারাও আরেকটি ডিপ ফ্রিজের চাহিদা অনুভব করেন। আর যার নেই তিনি কোরবানির আগে ফ্রিজের দোকানে ছোটেন। এসব কারণেই গত এক মাসে ফ্রিজের চাহিদা বেড়েছে, বেড়েছে বেচাকেনাও। ফ্রিজ বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার ফ্রিজের মোটামোটি। বরাবরের মতোই বেশি বিক্রি হচ্ছে ডিপ ফ্রিজ।
ঈদ ঘনিয়ে আসায় বেড়েছে ফ্রিজের চাহিদা। দেশে কোরবানীর ঈদকে ধরা হয় ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম। কোরবানির মাংস সংরণের জন্য বিক্রি হয় ফ্রিজ। শহরের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ডের শোরুমে ফ্রিজ বিক্রির ধুম পড়েছে। এক সঙ্গে বেশি পরিমাণ মাংস সংরণ করা যায় বলেই ক্রেতাদের পছন্দ ডিপ ফ্রিজ। কিংবা বড় ডিপযুক্ত সাধারণ ফ্রিজ। ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফ্রিজে চলছে নানা অফারও। শুধু ফ্রিজই নয়, ঈদকে উপল্য করে অনেকেই কিনছেন অন্যান্য পণ্যও। ক্রেতা আকর্ষনে ঈদের সময় বেশিরভাগ ব্র্যান্ড মূল্যছাড় দিচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রতি ঝুঁকলেও, আর্থিকভাবে সচ্ছল ক্রেতারা ঝুঁকছেন প্রতিষ্ঠিত বিদেশি ব্র্যান্ডের দিকে।
শহরের মাই ওয়ান শোরুমের মালিক মোজাম্মেল হোসেন জানান, প্রতিদিন মাই ওয়ান ও মিনিষ্টার ব্র্যান্ডের ৪ থেকে ৫টি ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় ফ্রিজ বিক্রি একটু কম। ওয়ালটন, যমুনা, এলজিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অন্যান্য শোরুম গুলোতেও চলছে ফ্রিজ বিক্রির ধুম।