দেশের ৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর কৃষি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আবেদন করেন ৮১ হাজার ২১৯ জন। এরমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী। পাস নম্বর তুলতে পেরেছেন ১৮ হাজার ১৯২ জন। পাসের হার ২৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন নম্বর ছিল যথাক্রমে ৮৫ ও ৪৫।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভুঞার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ১১ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রকাশিত মেধা তালিকা ও অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিগ্রি/বিষয়সমূহের পছন্দক্রম দিতে হবে। ২৬ আগস্ট মেধা তালির প্রার্থিরা কে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ও অনুষদ পেলেন, তা জানানো হবে। ২৭ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর ১০ হাজার টাকা ভর্তি ফি দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।
কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস শুরুর তারিখ শিগগির ঘোষণা করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এছাড়া কৃষি গুচ্ছে ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য এই ওয়েবসাইটে (https://acas.edu.bd/) পাওয়া যাবে।
৫ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেশের ৮টি কেন্দ্র ও ৩টি উপকেন্দ্রে একযোগে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা হয়।
এরমধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২ হাজার ৬২০ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ হাজার, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ হাজার ৫০০ জন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ হাজার ২০০ জন, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪১১ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার জন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ হাজার জন এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়।
এছাড়া ৩টি উপকেন্দ্রের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৮১৭, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০ হাজার ৪২ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ হাজার ৬২৯ জন ভর্তিচ্ছুর আসন বিন্যাস করা হয়েছিল।