কৃষকের ক্ষতি করে সরকার দেশে কোনো শিল্পায়ন করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার সময়ও কৃষকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
আজ বুধবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক লীগের ১০ম জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সরকার কৃষকদের সর্ব্বোচ্চ প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘কৃষকদের এক হাজার ২৭ কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে ৭৯ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৬ কৃষক উপকৃত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, দুই কোটির বেশি সংখ্যক কৃষককে কৃষি উপকরণ কার্ড দেওয়া হয়েছে। ওই কার্ড দিয়ে তারা স্বল্পমূল্যে বীজ, সারসহ যাবতীয় কৃষি উপকরণ ক্রয় করতে পারেন। আর সব প্রণোদনা বা ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যায়। কৃষকের টাকা বিতরণে যাতে অনিয়ম না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রেখে সমগ্র বাংলাদেশে কৃষক যাতে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে সরকার সেই ব্যবস্থা করেছে।
‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ স্লোগানকে সামনে রেখে এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রত্যেকটি কৃষকের বাড়িতে খামার করার কাজে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল। এতে ঘরের মেয়েরাও কর্মসংস্থানে নিযুক্ত হতে পারছে।’
বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এই অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটির নেতা নির্বাচন করা হবে। এবার কৃষিবিদদের হাতেই এই সংগঠনের নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, কৃষক লীগের সভাপতি হিসেবে কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা ও কৃষিবিদ সমীর চন্দ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট ও সাবেক ছাত্রনেতা আতিকুল হক আতিকের নাম আলোচনায় রয়েছে। এই চার নেতার মধ্য থেকেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আর আগে কৃষক লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালের ১৯ জুলাই।