সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের সরাতে সম্মত হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। দীর্ঘ সাত ঘণ্টার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে এ ব্যাপারে সম্মত হন তারা।
মঙ্গলবার রাশিয়ার সোচিতে তারা বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাশিয়া ও তুরস্ক সিরীয় ভূখণ্ডে কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা হতে দেবে না বলে সম্মত হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি নতুন করে ১৫০ ঘণ্টার সময়সীমা ঘোষণা করেন। যার মধ্যে কুর্দি ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের তুর্কি সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সরে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে এই সময় গননা শুরু হবে। এর মধ্যেই ওয়াইপিজি সন্ত্রাসীদেরকে তাদের অস্ত্রশস্ত্র সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরো জানান, ১৫০ ঘণ্টার সময়সীমার পরে তুরস্ক ও রাশিয়া যৌথভাবে তুরস্কের বর্তমান অভিযানের স্থানের পূর্ব-পশ্চিমের ১০ কিলোমিটার জুড়ে টহল দেবে। সব ধরনের সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ মোকাবিলায় উভয়দেশ যৌথভাবে কাজ করবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, রাশিয়া তুরস্কের অভিযানের কারণ বুঝতে পেরেছে। তিনি সন্ত্রাসের অনুকূল পরিস্থিতির প্রতিরোধ এবং সিরিয়ার ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা রক্ষায় তার প্রত্যয় প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সিরিয়াকে সব ধরনের অবৈধ বিদেশি সামরিক উপস্থিতি থেকে মুক্ত করতে হবে।
উভয় দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ এবং তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু উপস্থিত ছিলেন।
নতুন এ সময়সীমার আগে, মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের উদ্যোগে তুরস্ক ও ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি হয়। ১২০ ঘণ্টার ওই যুদ্ধবিরতি মঙ্গলবার শেষ হয়।
গত ৯ অক্টোবর তুরস্ক উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অভিযান শুরু করে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সিরীয় শরণার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে তুরস্ক অপারেশন পিস স্প্রিং নামে এ অভিযান পরিচালনা করছে।