শেরপুরে স্কুলপড়ুয়া কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশী চাচা মো. বিল্লাল মিয়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত বিল্লাল সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দড়িপাড়া গ্রামের মো. লালু মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক রয়েছেন।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের নির্দেশে কিশোরীর বয়স নির্ধারণী পরীক্ষার জন্য তাকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া জেলা সদর হাসপাতালে ওই কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
মামলার এজাহার ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দরিদ্র পরিবারের সন্তান ওই কিশোরীর বাবা মারা গেছেন। তার মা চরশেরপুর ইউনিয়নের সরকারি মাটি কাটার প্রকল্পে কাজ করে জীবন যাপন করেন। ওই কিশোরী স্থানীয় বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় তাকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতো প্রতিবেশি চাচা মো. বিল্লাল মিয়া। একপর্যায়ে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নিয়ে নানা জায়গায় ঘুরাফেরা করত বিল্লাল।
গত ৮ ফেব্রæয়ারি কিশোরীর মা কাজের জন্য বাইরে থাকার সুযোগে বিল্লাল ওই কিশোরীর ঘরে প্রবেশ করে শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা চালায়। এতে ওই কিশোরী বাধা দিলে পরে জোরপূর্বক তার হাতপা বেঁধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে না জানাতে হুমকি দিয়ে যায় বিল্লাল। পরে কিশোরীর মা কাজ শেষে বাড়িতে এলে ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, এই ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত বিল্লাল ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।