দক্ষ মানব সম্পদ পাঠিয়ে বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি, বেকারদের স্বাবলম্বী ও দেশের বেকার যুবকদের কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নকলা-নালিতাবাড়ীর এমপি, আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর প্রচেষ্ঠা ও তত্তাবধায়নে শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ২০১৫ সালে পথচলা শুরু করে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭শ ৩০ জন পুরুষ কর্মী ও ৩ হাজার ১শ ১৫ জন মহিলা কর্মী প্রশিক্ষণ নিয়ে সফলভাবে বিদেশে কাজ করছে। শ্রমিক হিসেবে নয় দক্ষতার আলোকেই নির্দিষ্ট কাজ নিয়ে বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে প্রশিক্ষণার্থীরা। অপরদিকে প্রশিক্ষণের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশেই জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছে শেরপুরের বেকার যুবক যুবতীরা।
টিটিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শেষ হয়ে পহেলা জানুয়ারী ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। কম্পিউটার অপারেশন, জেনারেল ইলেকট্রনিক্স, জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল, মেশিন টুলস অপারেশন, সিভিল কনস্ট্রাকশন ও গার্মেন্টস ট্রেডে ৬ মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ চালু রয়েছে। এসময় প্রশিক্ষণে এখন পর্যন্ত কম্পিউটার অপারেশনে ৭শ ৭০ জন, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন ট্রেডে ৬শ ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী ৬ মাস মেয়াদে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে দেশে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেই বিদেশ গমন কিংবা দেশেই স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্স ছাড়াও বিদেশগামীদের জন্য তিন দিনের ওরিয়েন্টেশন দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট দেশের স্বাস্থ্যবিধি, আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় আইন-কানুন, কর্মপরিবেশে করণীয়, টাকা পাঠানোর বৈধ উপায়, বিপদে পড়লে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগের নিয়ম ও দালালদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার বিষয়গুলো শেখানো হয়। অপর দিকে এসএসসি পরীক্ষায় ভোকেশনাল শাখায় গত দুই বছরে ৫০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামছুর রহমান বলেন, ‘আমরা দক্ষ মানব শক্তি তৈরি করে বিদেশে প্রেরণ করছি। এতে বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে কাজ করছে শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেই লক্ষে আসছে জানুয়ারীতে শুরু হবে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ।