বিশ্বজুড়ে মহামারীর রূপ পাওয়া নভেল করোনা ভাইরাস আমাদের দেশের সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বাড়ছে আতঙ্ক, একই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে নানা গুজব। কোভিড-১৯-এর শুরুর দিকের লক্ষণগুলো হলো জ্বর, ক্লান্তি ভাব, শুষ্ক কাশি, শরীর ব্যথা, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা ইত্যাদি; পাতলা পায়খানাও হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এসব লক্ষণের তীব্রতা বাড়ে এবং মৃদু থেকে তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই জেনে রাখা ভালো দিন অনুযায়ী পরিলক্ষিত লক্ষণগুলো-
প্রথম থেকে তৃতীয় দিন : সাধারণ সর্দি-কাশি, হালকা গলাব্যথা। তেমন কোনো জ্বর নেই। আপেক্ষিকভাবে সুস্থ এবং খাওয়া-দাওয়া করতে সমস্যা হয় না।
চতুর্থ দিন : গলাব্যথা প্রথম ৩ দিনের তুলনায় একটু বেশি। মাথা ঘোরা ও কিছুটা ভারসাম্যহীন অনুভব করা। কথা বলতে কষ্ট হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকে। খাওয়া-দাওয়া করতে সমস্যা হওয়া। হালকা মাথাব্যথা, অনেক সময় ডায়রিয়ার মতো পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে।
পঞ্চম দিন : গলাব্যথা আগের চেয়ে বেশি। কথা বললে গলায় বেশি ব্যথা করে। দেহের তাপমাত্রা ৯৮.১ ডিগ্রি সে.-৯৮.৪ ডিগ্রি সে. এর কাছাকাছি। শারীরিক দুর্বলতা ও জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা।
ষষ্ঠ দিন : জ্বরের তীব্রতা ক্রমে বেড়ে ৯৮ ডিগ্রির আশপাশে থাকা। শুকনো কাশি শুরু হওয়া। কথা বলার সময় বা ঢোক গিলতে গেলে ব্যথা করা। অস্বাভাবিক দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, মাঝে মধ্যে শ্বাসকষ্ট হওয়া। হাতের আঙুলগুলোয় ব্যথা শুরু হওয়া। বমি, ডায়রিয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
সপ্তম দিন : উচ্চমাত্রায় জ্বর (৯৯.৩ ডিগ্রি সে. – ১০০ ডিগ্রি সে.), কফসহ কাশি, মাথা ও শরীর ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া বৃদ্ধি পাওয়া।
অষ্টম দিন : জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১০০.৪ ডিগ্রি সে. এর ওপরে চলে যায়। শ্বাসকষ্ট এবং প্রতিবার শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় বুক ভার ভার লাগে। বিরতিহীন কাশি। মাথাব্যথা, জয়েন্ট ব্যথা এবং কোমরের মাংস ব্যথা।
নবম দিন : আগের সব উপসর্গ থাকবে তবে সেগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করা। যেমন- জ্বরের অবস্থা আরও অবনতি, শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। এগুলোর যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত হটলাইন বা ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। এখন অনেক হাসপাতালেই সরকারি ও বেসরকারিভাবে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করানো যাচ্ছে। ঘরে বসে থেকে কিংবা রোগটি গোপন না করে পরীক্ষা করিয়ে নিন। নিশ্চিত হোন যে আপনি পজিটিভ বা নেগেটিভ। করোনা পজিটিভ হলে মনোবল শক্ত রাখুন। চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে নিজে ও পরিবারকে সুস্থ রাখুন।