শেরপুর সদর উপজেলার চৈতনখিলা জব্বারিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে কথা রাখলেন শেরপুর জেলা পুলিশ। ১১ এপ্রিল পাকুরিয়া ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং এর সভায় ওই প্রতিষ্ঠানের ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অনুরোধে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে মাদ্রাসার সকলের সামনে হাজির করার ওয়াদা দেন। পরে আজ দুপুরে অভিযুক্ত আসামী রিপনকে গ্রেফতারের পর ওই মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত করে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আস্থার বহিঃপ্রকাশ করে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সময় ছাত্রীদের নিরাপত্তার ব্যপারে আমরা সদা জাগ্রত। কেউ যদি ছাত্রীদের যাতায়াতের পথে বাঁধার সুষ্টি করে আমরা তাকে আইনের আওতায় আনবোই। ইভটিজিংকারীরা কোনভাবেই পাড় পাবে না। আজকের এই ঘটনা সব অপশক্তির বিরুদ্ধে একটি বার্তা হিসেবে থাকলো।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম বলেন, এই মামলাটি নিয়ে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। অভিযুক্তরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করায় তাদের আইনের আওতায় আনতে কিছুটা বিলম্ব হলেও আমরা সফল হয়েছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শুভ্র সাহা আজ আসামীকে বড়ইতার এলাকা থেকে বিভিন্ন কৌশলে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হায়দার আলী, জেলা পরিষদ সদস্য ও মাদ্রাসা সভাপতি কফিল উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ, মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আইন উদ্দিন প্রমূখ।
মামলাসূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী ১০মার্চ নিজ বাড়ী থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বড়ইতার এলাকার কেরোমায়ের ভিটা সংলগ্ন স্থানে পথ রোধ করে স্থানীয় রিপন, মোজাফফর আলী ও ইলিয়াসসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন। এসময় তার পরিহিত বোরকার স্কার্প খুলে মোবাইল ফোনে ছবি তোলার চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এসময় নৈতন বেগম নামের স্থানীয় এক নারী মেয়েটিকে বখাটেদের হাত থেকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ১৪ মার্চ মেয়ের পরিবার শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ৩আসামীর মধ্যে ২জন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকলেও আরেক আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।