বর্তমান উপজেলা পরিষদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৬ এপ্রিল। উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ এর ১৭(১)(গ) ধারা অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই সদ্য সমাপ্তি হয়ে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ না কাটতেই শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে।
ঘোষণা অনুযায়ী আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এখনো বাকি অনেক দিন। তবে এত দূরের ভোটকে সামনে রেখেই সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। ইতিমধ্যেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। একই সঙ্গে গণসংযোগ ও দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক-সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন তারা। এরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস এস এ ওয়ারেজ নাইম, সাধারণ সম্পাদক এসএমএ আমিরুজ্জামান লেবু, যুবলীগের আহবায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. ফারুক আহাম্মেদ।
দলীয় মনোনয়ন বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে কেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা পায়নি। কেন্দ্রের নির্দেশনা অণুযায়ী দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে। তবে যারা প্রার্থী হতে চান তারা এরইমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে জানান এ আওয়ামী লীগ নেতা।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব এস এস এ ওয়ারেজ নাইমকে পরাজিত করে বিএনপির প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম বাদশা টানা দ্বিতীয় বার চেয়ারম্যান নির্বাচন হন।