Security personnel stand guard at a roadblock ahead of Muslim’s Friday noon prayers in Jammu on August 9, 2019, after the Indian government stripped Jammu and Kashmir of its autonomy. – India’s Muslim-majority Kashmir region was stripped of its autonomy to free it from Pakistani-encouraged “terrorism and separatism”, Prime Minister Narendra Modi said on August 8. (Photo by Rakesh BAKSHI / AFP)
সন্তানকে এক মিনিটের জন্য ফোন করার সুযোগ পেয়ে কাশ্মীরি এক নারী তার ছেলেকে ঈদে বাড়িতে না আসতে বলেছেন। ওই নারী বলেন, আমার স্বামী বেঙ্গালুরুতে থাকা আমার ছেলেকে ফোন করতে চেয়েছিল কিন্তু তাকে আমি বলেছি, আমি যাবো। কারণ তল্লাশি চৌকিতে নিরাপত্তাকর্মীরা পুরুষের চেয়ে নারীদের কম বাধা দিচ্ছে। এরপর জওয়াহর নগর থেকে হেঁটে আমার ছেলেকে ফোন দিতে ডিসি অফিসে গেলাম।
‘ফোনে সে প্রথমে কেঁদে ফেলল। কিন্তু তাকে হতাশ হতে না বললাম। নিজের প্রতি যত্ন নিতে বললাম। এছাড়া ঈদে যাতে সে বাড়িতে না আসে, সেই নির্দেশ দিলাম। কারণ এখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ।’
সাধারণ মানুষের জন্য দূরে জরুরি ফোন করতে দুটি টেলিফোন লাইন উন্মুক্ত করার পর ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নারীরা শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনারের(ডিসি) অফিসে কাশ্মীরি নারীদের ঢল নেমেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরে থাকা তাদের সন্তানদের সঙ্গে একটু কথা বলতে তারা সেখান জড়ো হচ্ছেন।
বুধবার রাতে টেলিফোন লাইন পুনর্বহালের খবর টেলিভিশনে সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্থানীয়দের জানায় কর্তৃপক্ষ। শ্রীনগরের লাল চৌকের কাছেই ডিসি অফিস থেকে সরাসরি ফোন দেয়ার সুযোগের ব্যবস্থা আছে বলে ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের ডিসি শহীদ চৌধুরী বলেন, পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাচ্ছেন বলে আমরা বুঝতে পেরেছি। যে কারণে আমরা ফোন সেবার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যে কেউ এখানে এসে স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারবেন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থানীয়রা এখানে এসে ফোনে স্বজনদের সঙ্গে ইচ্ছামতো কথা বলতে পারছেন। তবে অবশ্যই পরিমিত সময়ের মধ্যেই তাদের কথা বলতে হবে। অপারেটররা প্রত্যেকের জন্য এক মিনিটের কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
শ্রীনগরের হাওয়ালের বাসিন্দা ফাহমিদা বলেন, আমার মেয়ের চলতি সপ্তাহে আসার কথা ছিল। কিন্তু সে টিকিট কাটতে পারেনি। কারণ এর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। কাজেই সারাদিন আমি দরজার বাইরে তাকিয়ে থাকি, কখন সে আসবে।
তিনি বলেন, চান্দিগড়ে সে কেমন আছে, তা নিয়ে আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কারফিউর মধ্যে সে শ্রীনগরে পৌঁছাতে পারবে কিনা, তা নিয়ে আমাদের হতাশার শেষ নেই।