রাজধানীসহ সারাদেশে ঈদুল আযহা উপলক্ষে নামাজ হবে সবখানেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া।
শনিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। আগামী ১২ অগাস্ট সারাদেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ।
পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে ঈদের জামাতে সদৃঢ়, সুসমন্বিত ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে প্রধান ঈদের জামাত জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় ঈদের জামাতে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জাতীয় ঈদগাহে প্রত্যেক মুসল্লিকে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মুসল্ল্লিদের তিন ধাপে আর্চওয়ে ও তল্লাশীর মধ্য দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করানো হবে। জায়নামাজ ছাড়া কোন ধরণের ব্যাগ, অস্ত্র, ছুরি, গোলাবারুদ ও দার্হ্য পদার্থ নেওয়া যাবে না বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঈদগাহের চারদিকে ও ভেতরে সর্তক অবস্থায় থাকবে ইউনিফর্মে ও সাদা পোষাকে পুলিশ। সিসি ক্যামেরা বসানো হয়ে আশপাশ এলাকায়। নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকবে ফায়ার টেন্ডার, মেডিকেল টিম, কমান্ড ভেহিক্যাল ও ওয়াচ টাওয়ার।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে প্রবেশে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আবদুল গণি রোড, মৎস্য ভবন ও দোয়েল চত্বরসহ কয়েকটি এলাকায় ব্যারিকেড থাকবে। এসব সড়ক দিয়ে ঈদগাহের দিকে হেঁটে যেতে হবে। ব্যারিকেডের ভেতর ভিভিআইপি ছাড়া কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারবে না।
শুক্রবার র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ঈদকে ঘিরে র্যাব সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। হাটে পশু বিক্রি করে বেপারীরা যাতে টাকা নিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে-সে বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে র্যাব। ঈদ জামাত ঘিরেও দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের উচ্চ পদস্থ একাধিক কর্মকর্তা জানান, ঈদ ঘিরে ঢাকা মহানগরের ভেতরে ও প্রবেশপথে থাকছে বাড়তি চেকপোস্ট ও পেট্রোল। বাস, ট্রেন, লঞ্চ স্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঈদের ছুটিতে ঢাকায় ফাঁকা বাড়ি-ঘরে চুরি ডাকাতি রোধে প্রধান সড়ক ও মহল্লায় সর্বাত্মক নজর থাকবে পুলিশ-র্যাবের।