ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম এলাকায় খেলা শেষে ইতালি সমর্থকদের ওপর আক্রমণ করেন ইংল্যান্ড সমর্থকেরা। এছাড়া ট্রাফালগার স্কোয়ারে বড় পর্দায় খেলা দেখার পরও ইংলিশ ফুটবল ভক্তরা হামলা করে প্রতিপক্ষের ওপর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এলাকার কয়েকটি ফুটেজ ভাইরাল হয়ে পড়ে। সেখানে দেখ যায় দলবেঁধে ইতালি ফ্যানদের পেটাচ্ছেন ব্রিটিশ ফ্যানরা।
তারা মাতাল অবস্থায় বোতল, চেয়ার, আতশবাজি, বিয়ারের ক্যান, রাস্তায় ব্যবহৃত প্লাস্টিকের কোন ছুঁড়তে থাকে প্রতিপক্ষ দলের ওপর, বলে জানায় ব্রিটিশ পুলিশ।
তারা জানায় ওয়েম্বলির আশেপাশের এলাকা থেকে ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে ভাংচুর ও মারামারির দায়ে।
এক টুইট বার্তায় দেশটির পুলিশ জানায়, ‘ফ্যানদের নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে সাহায্য করতে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ সদস্য ওয়েম্বলি ও সেন্ট্রাল লন্ডনে নিয়োজিত আছেন। আমরা আপনাদের নিরাপত্তার জন্যই আছি।’
ম্যাচের শেষে ইংল্যান্ডের হয়ে টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিস করা ইংল্যান্ডের তিন খেলোয়াড় মার্কাস র্যাশফোর্ড, জেডন সানচো ও বুকায়ো সাকাকে উদ্দেশ্য করে গালি ও বর্ণ বিদ্বেষী মন্তব্যও করেন ইংলিশ ফুটবল ফ্যানরা।
ইতালির বিপক্ষে ফাইনালে লুক শর গোলে দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পর, ৭১ মিনিটে বনুচ্চির গোলে সমতা ফেরায় ইতালি। এরপর ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে ওই তিন ফুটবলার নিজেদের শট মিস করেন। ১৯৬৬ সালের পর প্রথমবার ফাইনালে উঠে টুর্নামেন্ট জিততে ব্যর্থ হওয়াটা মেনে নিতে পারেননি থ্রি লায়নসের সমর্থকেরা।
ভক্ত ও দর্শকদের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। এক বিবৃতিতে তারা জানায় কোনো ভাবেই এই আচরণ বরদাস্ত করবে না তারা।
আরও বলা হয়, ‘সামাজিক মাধ্যম ও মাঠে কয়েকজন ইংলিশ খেলোয়াড়ের প্রতি যে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা হয়েছে তাতে আমরা ক্ষুব্ধ। এমন আচরণ কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা খেলোয়াড়দের পাশে আছি ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি।’
ইংলিশ ফুটবল ভক্তদের এমন আচরণ নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০০৮ ইউরো ও ২০০৬ বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক আসরেও তারা মারামারি ও প্রতিপক্ষ সমর্থকদের ওপর আক্রমণ করেছে।