আদর্শ শিক্ষক, দায়িত্বশীল রাজনীতিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে মরহুম আমজাদ আলী মাস্টার ছিলেন শেরপুরের একজন আলোকিত মানুষ ।
১৯৪৮ সালে শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের দিক কামারিয়া গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহন করেন । বাবা মরহুম হুসেন আলী ও মা মরহুমা মেহেরুন নেছার তিন সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম সন্তান। স্ত্রী নুরন্নাহার বেগম গৃহিনী । তার চার সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে ডা. নাদিম হাসান শেরপুর জেলা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনস্যালটেন্ট ও বিএমএ শেরপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক । ছোট ছেলে নাহিদ হাসান আমজাদ ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের পরিচালক ও শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দুই মেয়ে আঞ্জুমান নাহার ও আরজুমান নাহার সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত।
শিক্ষা জীবনে তিনি ১৯৬৬ সালে জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন । পরবর্তিতে ময়মনসিংহ টির্চাস টেনিং কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রি অর্জন শেষে তিনি শিক্ষকতা পেশায় জড়িয়ে পড়েন । ১৯৬৮ সালে তিনি গাজীর খামার উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন । পরবর্তিতে তিনি ওই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।
শিক্ষকতা পেশায় জড়িত হবার আগ থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন । তার দায়িত্বশীল ভ’মিকায় তিনি একইসঙ্গে নিজ ইউনিয়ন কামারিয়া ও পাশ্ববর্তী গাজীর খামার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ।
রাজনীতিতে নিলোর্ভ ও সাহসিকতার কারনে তিনি ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত শেরপুর সদর থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালনসহ ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । পরবর্তিতে তিনি সরসরি (১৯৭৭-১৯৭৯) শেরপুর সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহন করেন । মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কেবল সভাপতি হিসেবেই দীর্ঘ ২৭ বছর দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ।
তিনি ২০০৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন ।
শেরপুর টাইমস - শেরপুর জেলাভিত্তিক প্রথম অনলাইন সংবাদ মাধ্যম। শেরপুরের সংবাদের প্রাধান্য দিয়ে দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পাঠকের কাছে তুলে ধরাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এছাড়া তারুণ্য ভিত্তিক ইতিবাচক গল্প, শেরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও পর্যটনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমরা অঙ্গিকারাবদ্ধ।