ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে কেউ মারা যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, আপনারা বলেছেন ছয়জন মারা গেছেন, এটি ঠিক। এটির জন্য কমিশন ব্যথিত। এটি আমরা কখনো চাইবো না রাষ্ট্রের একজন নাগরিকও যেকোনো কারণেই নিহত হোক। আজ যে ছয়জন মারা গেছে তারা কেউ আমাদের ভোটকেন্দ্রে মারা যায়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যারা তাদের মধ্যেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, তাদের মধ্যেই সহিংসতা হয়েছে এবং তারা মারা গেছে।
তিনি বলেন, মোট যে ৮৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়েছে আমরা সব জেলা-উপজেলায় খোঁজ নিয়েছি, প্রার্থীরাও কেউ কেউ আমাদের কাছে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, আমরা জানতে পেরেছি ভোটটি খুব সুন্দর হয়েছে, উৎসবমুখর হয়েছে।
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, এই ধাপের ৮৩৪টি ইউপি নির্বাচনে ৮ হাজার ৪০০ ভোটকেন্দ্র। আমরা গণমাধ্যম ও ল’ মনিটরিং সেন্টারের মাধ্যমে রিপোর্ট পেয়েছি ১০টি কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে। আমাদের প্রিসাইডিং অফিসাররা ওই ১০ কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিয়েছেন। এগুলোতে পরে ভোটগ্রহণ করা হবে। অন্য কেন্দ্রগুলোর রেজাল্ট নিয়েও যদি ডিসিশন না হয় তখন পরবর্তীতে ভোট নেওয়া হবে। আমরা মনে করি পুরো দেশে ভালো ভোট হয়েছে।
গতকাল চতুর্থ ধাপের ভোটের তফসিল হয়েছে, পরবর্তী ধাপের ভোট নিয়ে আবার কমিশনের বৈঠক হবে বলেও জানান ইসি সচিব।
এর আগে আজ দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।
নিহতদের মধ্যে নরসিংদীতে তিনজন, কক্সবাজারে একজন, চট্টগ্রামে একজন ও কুমিল্লায় একজন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়।