শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়ের শেকেরকুড়া গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমি আক্তারের রান্না করতে গিয়ে গায়ে আগুন লাগে। পরে শরীরের একটি অংশ পুরে যায় যায়। মা হারা পরিবারে মায়ের ভূমিকায় হাসপাতালে সময় দিয়ে আগুনে পুরে যাওয়া মেয়েটির পাশে দিনরাত পাড় করছেন তার বাবা। শিশু সুমির মা ওয়াহেদা খাতুন ৩ বছর আগে পরিবারে একমাত্র মেয়ে আর দুটি ছেলে সন্তান রেখে পাশের গ্রামের অন্য একজনকে বিয়ে করে পরিবার ছাড়া হয়ে যায়। এরপর বাবা ও মায়ের ভূমিকায় ছেলেমেদের আগলে রাখছেন দরিদ্র বাবা শুকুর আলী ।
দিন মজুর শুকুর আলী কর্মহীন হয়ে পরায় চিকিৎসা করাতে হিমসিম খাচ্ছিল, তবুও একমাত্র মেয়েকে বাচাঁতে টানাপোড়েনের সংসারের আপ্রাণ চেষ্টা করি যাচ্ছিল প্রতিনিয়ত। আগুনে পুরে যাওয়া শরীরের আংশের ছবিসহ মানবিক সহযোগিতা চাওয়ার কথা ‘শেরপুর টাইমস ডটকম’ এ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়ালে চোখে পড়ে কয়েকজন প্রবাসীর। এরপর তাদের আর্থিক সহযোগিতা করেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী সামিউল হক হৃদয়, মায়নুল ইসলাম ও স্থানীয় তরুণ রেজাউল খান।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) প্রবাসীদের প্রতিনিধি হয়ে দেশব্যাপী শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠক মোশারফ হোসাইন, আরিফুল ইসলাম ও রেজাউল খান নালিতাবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নগদ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা সুমির বাবার হাতে তুলেদেন। রেজাউল খান জানান, আরও যদি কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমরা সহযোগিতা করবো।
নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান সুমন জানান, মেয়েটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। তার প্রয়োজনে সব সময় আমরা পাশে আছি।