টাইমস ডেস্ক : বিশিষ্ট আইনজ্ঞ অ্যাডভোকেট আফতাবউদ্দিন আহমদ ১৮৯৯ সালে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার চিথলিয়ার জোতদার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলেফ মাহমুদ, পিতামহ শেখ দরবার উদ্দিন ও প্রপিতামহ ফাজেল ম-ল ছিলেন জোতদার। তিনি শেরপুর ভিক্টেরিয়া একাডেমী থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করে পরবর্তীতে কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ¯œাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
১৯২৭ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল. ডিগ্রী অর্জন করে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর মহকুমার শেরপুর বারে প্রথম মুসলিম আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তী চল্লিশ বছর তিনি সুনামের সঙ্গে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ শেরপুর বারের সভাপতি, শেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ও সরকারী উকিলের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার ম্মরণে চিথলিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আফতাবিয়া ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ।
অ্যাডভোকেট আফতাবউদ্দিন আহমদ এর বড় ছেলে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ¯œাতক ডিগ্রী অর্জন করেন এবং পিতার পেশায় একই বারে আইনজীবী হিসেবে ১৯৫৪ সালে যোগদান করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের বিচার বিভাগীয় সদস্য হবার দূর্লভ সম্মান অর্জন করেন এবং রাজশাহীতে মুন্সেফ হিসেবে কাজ করেন।
উল্লেখ্য জামালপুর মহকুমার তিনিই সর্ব প্রথম ইপিসিএস (বিচার) অর্জনকারী ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। সেসময় তিনি দীর্ঘদিন সরকারী উকিলের দায়িত্ব পালন করেন এবং শেরপুর বারের বহুবার সভাপতি নির্বাচিত হন।
মেঝ ছেলে যুক্তরাজ্য প্রাবসী চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম, ছোট ছেলে ডা. আনোয়ারুল ইসলাম ছিলেন দেশের প্রথম এফসিপিএস ডিগ্রী অর্জনকারী চিকিৎসক। তিনি ত্রিপলি আবুসেত্তা বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তার একমাত্র কন্যা রওশন আরা বেগম দেশের খ্যাতনামা শৈল্য বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. নওয়াব আলী আহমদ-এর স্ত্রী।