অবসর নাটকীয়তার পর এখন দেড় মাসের ছুটিতে আছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এ সময় পিঠের চিকিৎসা করানোর কথা রয়েছে তার।
অনেকদিন ধরেই এই ইনজুরির জন্য বেশ অস্বস্তিতে আছেন তামিম। খেলতে পারেননি অনেকগুলো ম্যাচেও।
এ সপ্তাহেই ইংল্যান্ডে চিকিৎসক দেখানোর কথা তামিমের। এরপর তামিমকে করাতে হতে পারে অস্ত্রোপচার। এক বোর্ড কর্মকর্তার বরাত দিয়ে খবরটি জানিয়েছে জাতীয় দৈনিক ডেইলি সান। এ সপ্তাহেই নিজের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যতের করণীয় ঠিক করবেন তামিম।
তার চিকিৎসায় মূলত তিনটি উপায়ে করা হতে পারে- ইনজেকশন, পুনর্বাসন বা অস্ত্রোপচার। বিসিবির ওই কর্তা এ নিয়ে বলেন, ‘তামিমের এমন অবস্থায় অস্ত্রোপাচার একটা অপশন। কিন্তু এটা হবে সর্বশেষ চিকিৎসা। যদি অস্ত্রোপচার করেই, তাহলে তাকে অন্তত চার মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ’
আগামী মাসের শেষদিকে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে বসবে এশিয়া কাপ। এরপর অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্ট দুটি হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে, যেখানে এখনও অধিনায়ক তামিমই। বিসিবির জন্য তাই বড় চিন্তা তার ইনজুরি। তামিম অবশ্য শুরুতে ইনজকেশন দিয়ে ব্যথা কমানোর দিকেই হাঁটবেন বলে জানা গেছে।
যদিও সবকিছুই নির্ভর করছে ইংল্যান্ডের ডাক্তারদের পরামর্শের ওপর। তাদের কথা শুনে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার দিকেও যেতে পারেন তামিম। সর্বশেষ জিম করতে গিয়ে ফের ব্যথা বাড়ে তামিমের। তখন এমআরআই করানোর পর চোটটিকে ‘জটিল’ হিসেবে জানান ডাক্তাররা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে তামিম জানান ‘ফিট কি না জানতে খেলবেন’ তিনি। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ক্ষোভ জানান তার এমন মন্তব্যে। এরপর আকস্মিকভাবে সিরিজের মাঝপথে দেন অবসরের ঘোষণা। যদিও পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপের পর অবসর ভাঙার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।