শাকিল মুরাদ: মহামারি করোনার কারণে গত কয়েক মাস বন্ধ আছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর এ কারণে শিক্ষার্থীদের ৫ থেকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। শেরপুর জেলায় এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে ও কম্পিউটার দোকানগুলোতে ভিড় জমান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির বরাত দিয়ে শেরপুরের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা জানান, চলতি বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুদানের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। যেসব শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার শিকার তারাই এই অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় দুস্থ, প্রতিবন্ধী, গরিব ও অনগ্রসর ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্রাধিকার পাবেন। এই আবেদনের শেষ সময় ৭ মার্চ। তবে এটি করোনা প্রণোদনা বা স্টুডেন্ট ভাতা না।
শিক্ষকরা জানায়, করোনার জন্য সরকার শিক্ষার্থী প্রতি ৫/১০ হাজার করে টাকা দিচ্ছে এই ধরনের একটি খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটি শুধুই একটি গুজব। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা শিক্ষিত হয়েও খবরটির সত্যতা যাচাই না করে গুজবের পিছনে ছুটোছুটি করছি। আর কিছু অসাধু কম্পিউটার দোকানদার এটার অপব্যবহারেরও সুযোগ নিচ্ছে। যে অনুদানের কথা বলা হচ্ছে তা শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য এবং এটি করোনা বিষয়ক কোন অনুদান নয়। তাই এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ১০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে শুনে তারা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে থেকে প্রত্যায়ন নিয়ে অনলাইন আবেদনের জন্য ভিড় করে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এই ভাতা পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যায়ন নিতে গেলে তাদের কাছ থেকে ৫০-২০০ টাকা করে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শেরপুর জেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোখছেদুর রহমান শেরপুর টাইমসকে জানান, তাদের কাছে করোনার কোনো অনুদানের কাছে চিঠি আসেনি। একটি মহল গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে স্বার্থ হাসিল করতে চায় বলে তার মনে হয়। এই অনুদান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বন্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।