শেরপুর জেলার সদর উপজেলা ও নকলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের কামড়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতের মধ্যে নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধ রয়েছে।
রোববার (১৮এপ্রিল) সকাল থেকে সোমবার (১৯এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত এই দুই উপজেলার বিভিন্ন মহল্লা ও গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষতের এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন, শেরপুর সদর উপজেলার আনিনাপাড়া এলাকার চান মিয়ার পুত্র মুক্তার (৮), নকলা উপজেলার ভূর্দি এলাকার মমিনের পুত্র অন্তর (২০), পৌরসভাধীন চরকৈয়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিক (২৪), আইয়্যুব আলীর পুত্র জনি (৫), মারফত আলীর পুত্র হাবেজ (১৫), শাহাপাড়া এলাকার মঙ্গল সাহার পুত্র নিরব সাহা (১০), দক্ষিন নকলার সুমন মিয়ার কন্যা আফিয়া (৪), আড়িয়াকান্দার মৃত. তফিজ উদ্দিনের পুত্র আ: রহমান (৪৫), ইমান আলীর কণ্যা খুসু মনি (৭), বালিয়াদির মফিজ উদ্দিনের পুত্র রফিকুল ইসলাম (১৪), হোসেন আলীর পুত্র আমবাজ আলী (৪৭), বানেশ্বর্দীর হাবিবুর রহমানের পুত্র নূর হোসেন (৪২), রইজ উদ্দিনের পুত্র মুক্তার (১৯), আক্কাস আলীর পুত্র আ: মান্নান (৫০), বিবিরচরের মৃত. ইসমাইলের পুত্র নজরুল ইসলাম (৭০)।
নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাযায় রোববার ও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১৫জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে আসলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরের কামড়ের রোগীদের ভ্যাকসিন না থাকায় এসব রোগীদের শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার খায়রুল কবির সুমন জানান, আমাদের হাসপাতালে কুকুরের কামরের রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট চালু আছে। সেখানে আক্রান্তদের প্রতিষেধক ইনজেকশন প্রদান করা হয়ে থাকে। উল্লেখিত রোগীদেরও চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।