অতিবর্ষন, পাহাড়ী ঢল ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট বন্যার পানিতে শেরপুরে এক সপ্তাহে শিশুসহ ৯জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার এক দিনেই বন্যার পানিতে ডুবে শেরপুর সদর উপজেলার পৃথক স্থানে স্কুল ছাত্রসহ ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরো এক শিশু।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) নিহতরা হচ্ছে শেরপুর শহরের নওহাটা মহল্লার নায়েব আলীর ছেলে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান (১৩), কামারেরচর ভাবনার মোফাজ্জলের ছেলে শামীম (৫), সাতপাকিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের কন্যা খুশি (৬)। এদের মধ্যে মেহেদী ও শামীম ভেলায় খেলতে গেলে ভেলা থেকে পড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। অপর একজন নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় পানিতে পড়ে গিয়ে মারা যায়।
এছাড়া গত শনিবার (১৩ জুলাই) শেরপুরের শ্রীবরদীতে সাঁতরে খাল পারি দেবার সময় খালের পানিতে ডুবে ইটভাটার শ্রমিক নুর ইসলাম মারা গেছেন। একই উপজেলায় গত রবিবরার (১৪ জুলাই) স্থানীয় কাজলদহ বিলে মাছ ধরতে গিয়ে কৃষক হাসমত আলীর মৃত্যু হয় এবং মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বন্যার পানিতে ডুবে হামিদ মিয়া নামের ৯ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় রবিবার (১৪ জুলাই) বন্যার পানিতে ডুবে এক বছর বয়সী শিশু মাহিনের মৃত্যু হয়। একই উপজেলায় মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কালীনগর গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে আসিমা বেওয়া নামে এক শতবর্ষী বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এছাড়া ধানশাইল ধুকুরিয়া মাদারপুরে বুধবার বন্যার পানিতে মামুন নামের এক কিশোর নিখোঁজের একদিন পর বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) কিশোর মামুনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।