কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চাচাকে ঘর তুলতে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ৩০ জনের বেশি লোকজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের বধূনগর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় শাহ আলম (৪৫), আসাব উদ্দিন (৪০) ও জাহের মিয়াকে (৫৫) কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বধূনগর গ্রামের ফর্সার বাপের বাড়ির খালেক মিয়া পারিবারিক চলাচলের রাস্তায় ঘর তুলতে চাওয়ায় তার ভাতিজা এমাদ মিয়া বাধা দেন। এ নিয়ে দুপক্ষে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে তাদের লোকজনের মধ্য সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গোষ্ঠীর লোকজন যোগ দিলে সংঘর্ষ পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের ২৫-৩০ জন আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
শ্রীনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, পূর্ব থেকেই তাদের বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকালে খালেক মিয়া ঘর তুলতে গেলে তারই ভাতিজা এমাদ মিয়া বাধা দেয়। এ সময় এলাকার কিছু লোক পৃথক হয়ে দুটি পক্ষকে সমর্থন জানালে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার শারমিন আক্তার চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষে ২৫-৩০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। এদের মধ্য তিনজনের অবস্থা খারাপ থাকায় তাদের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্য রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরে জানতে পারি বধূনগর গ্রামের খালেক মিয়া ও এমাদ মিয়া সম্পর্কে চাচা ভাতিজা। আজ সকালে পারিবারিক চলাচলের রাস্তা পাশে ঘর তুলতে গেলে ভাতিজা এমাদ মিয়া চাচাকে বাধা দেয়। এর জেরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।