বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার বাণিজ্যের তাণ্ডবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়া গ্রাম-গঞ্জে, মফস্বল জনপদে কেউ বাড়িঘরে থাকতে পারছে না। এ কারণে কেউ ব্যবসা বাণিজ্য, কাজকর্ম করতে পারছে না। পরিবারের সদস্যরা বিচ্ছিন্ন থাকায় অসংখ্য পরিবারকে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।”
শনিবার (১৮ নভেম্বর) ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, “চোর-ডাকাত দিয়ে ভিন্ন কোনো উপায়ে ভোট করতে মরিয়া আওয়ামী লীগ সরকার। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন কেমন হবে তা দেশবাসী জানেন। বাঘ তার ডোরা কাটা দাগ ফেলে আসতে পারে না।”
তিনি বলেন, “বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আটক করে কারও কাছ থেকে ১ লাখ, কারও কাছ থেকে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। টাকা দিতে না পারলে মিথ্যা মামলায় জেলখানায় নিক্ষেপ করছে।”
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, “জনগণ রাজপথে নেমেছে অধিকার আদায়ের দুর্বার আন্দোলনে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে সরকারের পতন হবে। আপনারা যে তফসিল ঘোষণা করেছেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন। নির্বাচন স্থগিত করে আগে পদত্যাগ করুন। না হলে এই ফরমায়েশি তফসিলে বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচন হবে না। জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে।”
রিজবী বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে সাতটি। আসামি করা হয়েছে ৯৭৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে (এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত)। মোট আহত ১২ জন।”
তিনি জানান, এছাড়া ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এর চার-পাঁচ দিন আগে থেকে এখন পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তার ১৩,২১০ জনের বেশি নেতাকর্মী। মামলা হয়েছে ২৯৬টির বেশি; ৪,১৩৩ জনের বেশি আহত হয়েছেন। একজন সাংবাদিকসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।