সরকারি অনুমোদন না পেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অবৈধ গরুর হাট বসিয়েছেন আড়াইহাজারের খাগকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম। ইতিমধ্যে ওই অবৈধ হাটে গরু-ছাগলও উঠতে শুরু করেছে।
আড়াইহাজারে খাগকান্দা কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে নয়াপাড়া এলাকায় বসেছে এই কুরবানির পশুর অবৈধ হাট।
তবে খাগকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি সেখানে কোনো হাট বসাননি।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, চলতি বছর পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আড়াইহাজার পৌরসভায় ২টি, গোপালদী পৌরসভায় ৩টিসহ মোট উপজেলার ২২টি স্থানে কুরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য জেলা প্রশাসন অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো অনুমোদন না পেলেও খাগকান্দা ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে নয়াপাড়া এলাকায় অবৈধ হাট বসিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। অনুমোদনহীন এ কুরবানির পশুর হাটের মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে জেলা কদমতলী মনির হোসেন দাখিল মাদ্রাসায় পশুর হাট অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসন।
ইতোমধ্যেই ওই অবৈধ হাটে কুরবানির পশু ভেড়ানোর জন্যে ব্যাপক মাইকিংসহ বিভিন্ন সড়কের মোড়ে লোকজন নিয়োগ করেছেন খোদ চেয়ারম্যান আরিফুল। ফলে জেলা প্রশাসনের অনুমোদিত কদমতলী মনির হোসেন দাখিল মাদ্রাসা মাঠের হাটের ইজারদাররা স্বল্প দূরত্বের এই অবৈধ হাটের কারণে বিপাকে পরেছেন। তারা অভিযোগ করছেন, তাদের হাটে আসার জন্য গরুর ট্রাকগুলোকে জোর করে ওই অবৈধ হাটে নিয়ে যাচ্ছে চেয়ারম্যানের নিযুক্ত বাহিনী।
এদিকে নিজের এই অবৈধ হাট নিয়ে চেয়ারম্যান আরিফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নিজের অ্যাকাউন্ট থেকেই একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও সমালোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
অনুমোদন ছাড়া কুরবানির পশুর হাট বসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে খাগকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম বলেন, এটা হাট না। স্থানীয় লোকজন যাতে কুরবানির পশু কেনাবেচা করতে পারে সেজন্যে আমি স্থানীয়দের একত্রিত করে দিয়েছি।
অপরদিকে আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমোদনহীন কোনো হাট বসানোর চেষ্টা আইনের লঙ্ঘন। যারা করছে বা করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
#যুগান্তর