শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের নতুন ধান কাটতে দেখা গেছে। বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ার আশা থাকলেও ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শংকায় আছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো আবাদে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২৩ হাজার ১২৭ হেক্টর জমিতে ধান রোপন করেছেন কৃষক। আর উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬২ মেট্রিক টন চাল। প্রকৃতি নির্ভর এই আবাদের বর্তমানে লক্ষণও খুব ভালো দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার অধিকাংশ এলাকার মাঠের ফসল পাকতে শুরু করেছে। আবার কোন কোন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে বোরোধান কাটা শুরু হবে বলে কৃষকরা জানান। বাকি দিনগুলোতে শিলাবৃষ্টি ও কাল বৈশাখীর ছোবল যদি কাটিয়ে উঠতে পারে কৃষক তাহলে তাদের সোনার ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক শামসুল হক বলেন, আমি এবার দুই একর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান রোপন করেছি। আবাদ খুব ভালো হয়েছে। আশা করি ফলনও খুব ভালো হবে। কিন্তু তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, এবারের বোরো আবাদে সার, কীটনাশক ও সেচসহ সকল কৃষি উপকরণের মুল্য বেড়ে যাওয়ায় ধানের উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। আর সরকার প্রতিমন বোরো ধানের দাম নির্ধারন করেছে ১ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমান বাজারে আধা শুকনো প্রতিমন চিকন ধান বিক্রি করা হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে। এই দামে কৃষকের পোষাচ্ছে না। এছাড়া কৃষক সরকার নির্ধারিত দাম কোন দিনই পায় না। তাই তিনি প্রতিমন বোরো ধানের দাম ১ হাজার ৬০০ টাকা করার দাবি জানান। নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এ বছর নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২৩ হাজার ১২৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬২ মেট্রিক টন চাল। সামনের দিনগুলোতে যদি কোন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি না হয় তাহলে এই উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। কৃষকের ধানের ন্যায্য মুল্য পাপ্তীর বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে তেমন শুকনো ধান বিক্রি করা হচ্ছে না বিধায় ধানের দাম একটু কম। তবে তিনি বলেন শুকনো ধান হলে অবশ্যই কৃষক তার ন্যায্য মুল্য পাবেন।