ব্রাজিলের বিপক্ষে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলেছিল সুইজারল্যান্ড। ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডরা একের পর এক গোলপোস্টে আঘাত হেনেছেন। কিন্তু গোলকিপার যেন বেড়া হয়ে দাড়িয়েছেন। কিছুতেই ভেদ করা যাচ্ছিল না বাধা। সোমবার রাতে জমে কাতার বিশ্বকাপে এমনভাবেই জমে উঠেছিল ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ডের লড়াই। একের পর এক আক্রমণ ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছিল গোলমুখে এসে। সুযোগও নষ্ট হচ্ছিল। এতে কিছুটা হতাশও হয়ে পড়েছিলেন ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা। মাঝেমধ্যে তো শঙ্কাও পেয়ে বসছিল, সুইসরা না আবার গোল করে বসে! নেইমার ও দানিলো বিহীন ব্রাজিল এদিন অনেকটা ধুকছিল। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সুইজারল্যান্ডের গোলমুখ ভেদ করা গেল শেষ পর্যন্ত। ভিনিসিয়ুস জুনিয়ার চমৎকার শটে একটি গোল করেন। কিন্তু বাঁধ সাধল ভিএআর প্রযুক্তি। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত দুটি গোল করে সমর্থকদের মন জয় করে নেওয়া রিচার্লিসনের একটা ছোট্ট ভুলে সেই গোলটিও বাতিল হয়ে গেল। ওই মুহূর্তে ব্রাজিল সমর্থকদের দিকে ঠিক তাকানো যাচ্ছিল না। এমতাবস্থায় ত্রাতা হয়ে আসেন মিডফিল্ডার কাসেমিরো। ম্যাচের ৮৩ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত শটে গোল করেন। মুহূর্তেই প্রাণ ফিরে পায় ব্রাজিল শিবির। সারা গ্যালারিত তখন উল্লাসের জোয়ার। তার এই গোলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই পরের রাউন্ডে উঠে যায় ব্রাজিল। কাসেমিরোকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নেইমার। নেইমার চোট পেয়ে সোমবার খেলতে পারেননি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটাও খেলতে পারবেন না। তবে ব্রাজিলের জয়ের পর টুইট করে কাসেমিরোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। টুইট করে লিখেছেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরেই কাসেমিরো বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডার।’ কোচ তিতেও এমনই মনে করেন। ব্রাজিল দলের পরীক্ষিত এই মিডফিল্ডার নিয়ে তিতেকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল নেইমারের এই টুইটের সঙ্গে তিনি একমত কি না! কোচ বললেন, ‘আমি সাধারণত অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিই। সাধারণত এসব ব্যাপারে আমি মন্তব্য করা থেকে দূরে থাকি। কিন্তু আজ করব। হ্যাঁ, নেইমারের এই মূল্যায়নের সঙ্গে আমি একমত।’