রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

জামালপুরের সেই ডিসির কমানো হয়েছে বেতন

প্রকাশিত হয়েছে -

জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বেতন গ্রেড কমানোর শাস্তি দিয়েছে। অফিসের একজন নারী পিয়নের সঙ্গে আপত্তিকর সম্পর্কে জড়ানোয় শাস্তি হিসাবে জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের বেতন গ্রেড কমিয়ে দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এটা শাস্তি। উপসচিব হিসাবে তিনি বর্তমানে ৫ম গ্রেডে বেতন পান। শাস্তির কারণে তিনি এখন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন।

কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী গুরুদন্ড হিসেবে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ, চাকরি থেকে বরখাস্ত।

অর্থাৎ, সিনিয়র সহকারী সচিব পদোন্নতি পাওয়ার পর যে বেতন পান আহমেদ কবীর তাই পাবেন। তিনি উপসচিব পদে বহাল থাকলেও তার বেতন অর্ধেক কমে যাচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

Advertisements

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, নিম্ন পদে নামিয়ে দেওয়ার শাস্তি দেওয়া হলে আহমেদ কবীর বিদ্যমান বেতনই পেতেন। আর নিম্ন বেতন গ্রেডের শাস্তি দেওয়ায় তাঁর বেতন অর্ধেক কমে গেল, তবে তিনি পদে বহাল থাকলেন।

২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আহমেদ কবীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। লিখিত কারণ দর্শানোর সঙ্গে তিনি ব্যক্তিগত শুনানি চান। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় মন্ত্রণালয় তাঁর বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বাজেট) মাসুদুল হাসানের প্রথম তদন্তে ভুল থাকায় দ্বিতীয় দফায় প্রতিবেদন দেন। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আহমেদ কবীরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮-এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

শাস্তির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনসহ অন্য বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে তাঁকে তিন বছরের জন্য নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণের গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পিএসসির পরামর্শ চাওয়া হলে তারা একমত পোষণ করেছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতিও এই বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।