শেরপুরের সন্তান ৪ গুণীজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম ইউনিট সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক শাহাজাদী আঞ্জুমানারা বেগম মুক্তি, খুলনা ওয়াশার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ, বিএমডিএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাসিনুর রহমানকে বৃহত্তর ময়নসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে শেরপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। বৃহত্তর ময়নসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম শেরপুর জেলার সভাপতি পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি। সভায় সংবর্ধিত অতিথিরা ছাড়াও অন্যদের মধ্যে জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মো. রফিকুল হাসান গনি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
সংবর্ধিত মেরিটাইম ইউনিট সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খোরশেদ আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, সমুদ্র বিজয় ছিল বালাদেশের ইতিহাসে অনন্য দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তে আমরা সমুদ্র জয় করেছি। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সাগরে ২৮টি ব্লকের মধ্যে মিনানমার ১৭টি ও ভারত ১০টি ব্লক দাবী করে। সে সময় আমাদের ১টি মাত্র ব্লক ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করি। সেই মামলায় ১টির জায়গায় আমরা ২২টি ব্লক পেয়েছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু সমুদ্র জয় করেননি। নীল সমুদ্রে যে সম্পদ রয়েছে সে সম্পদ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। এর কিছুটাও যদি আমরা নিয়ে আসতে পারি। তাহলে এ দেশের পরিবর্তন হবেই হবে।
বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক শাহাজাদী আঞ্জুমানারা বেগম মুক্তি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান নারী জাতি চিরদিন মনে রাখবে।
হুইপ আতিউর রহমান ৪ গুণীজনকে জাতির সোনার সন্তান উল্লেখ করে তাদের সমৃদ্ধি কামনা করেন।
সংবর্ধনা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পিরা মনোঞ্জ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।