বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ৫৮ মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু।
বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আগাম জামিন আবেদন করেন বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির সাবেক এই চেয়ারম্যান। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় ২০ মামলায় ৪ আসামিকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যদিও বুধবার তাদের আত্মসমর্পণের আদেশ স্থগিত করে দেন চেম্বার আদালত।
গত ১২ জুন অর্থ জালিয়াতিসহ বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির ৫৯টি মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ ১৪৫ টাকা আত্মসাতে ৫৯টি মামলা হয়। পাঁচজন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাগুলোর তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন মামলাগুলোর চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন করেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তিনদিনে টানা ৫৯টি মামলা করে দুদক। মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় করা এসব মামলায় মোট আসামি করা হয় ১৫৬ জনকে। মামলায় আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা রয়েছেন ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণ গ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠান।
এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে ৪৮টি মামলায়। সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া ডিএমডি ফজলুস সোবহান ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থ ২৩টি, গ্রেফতার হওয়া মো. সেলিম ৮টি, বরখাস্ত হওয়া ডিএমডি এ মোনায়েম খান ৩৫টি মামলার আসামি।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, সিএজি কার্যালয় ও খোদ বেসিক ব্যাংকের নানা প্রতিবেদনে এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ অনেকের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।