বাংলাদেশের আকাশে আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় পবিত্র মোহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আগামী রবিবার (৩১ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে মোহররম মাস ও নতুন হিজরি বর্ষ ১৪৪৪। সেই মোতাবেক আগস্ট মাসের ৯ (১০ মোহররম) তারিখ দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন- ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার।
এদিন গণমাধ্যমে পাঠানো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় আউয়াল হাওলাদার জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের আকাশে কোথাও হিজরি ১৪৪৪ সনের মোহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।
তাই শনিবার (৩০ জুলাই) জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আর রবিবার (৩১ জুলাই) থেকে মোহররম মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ৯ আগস্ট (১০ মোহররম) মঙ্গলবার দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে, যোগ করেন অতিরিক্ত সচিব হাওলাদার।
হিজরি সনের প্রথম মাস হচ্ছে মোহররম। আশুরার দিন দেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। শিয়ারা বিশেষভাবে আশুরা পালন করে থাকে।
কারবালা প্রান্তরে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেনের (রা.) শাহাদাত বরণের শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মূলত আমাদের দেশে আশুরা পরিচিত। যদিও ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র আশুরা আরও কিছু তাৎপর্যময় ঘটনায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। আশুরার রোজা (আশুরার দিন এবং আগে বা পরে একদিন) রাখার বিষয়ে বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে হাদিসে।
আশুরার দিনে ফেরাউনের হাত থেকে নবী মূসা (আ.) ও তার অনুসারীদের মুক্তি পাওয়া ছাড়া আর কোনো ঘটনা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। আশুরার দিনে হযরত আদমের (আ.) তাওবা কবুল, মহাপ্লাবনের পর নূহের (আ.) নৌকা জুদী পর্বতের ওপর থামা ও ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণ করার কথা অনির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো কোনো সাহাবী-তাবিই থেকে বর্ণিত আছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফারুক আহম্মেদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার এডিসি (সাধারণ) মো. ইলিয়াস মেহেদী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ প্রমুখ।